জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
অক্টোবর ০৩, ২০২১
০৬:৫৩ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৩, ২০২১
০৭:১১ অপরাহ্ন
সিলেটের অন্যতম জৈন্তাপুর উপজেলার একমাত্র লাল শাপলার রাজ্য জৈন্তাপুরের ৪টি বিল। বিলে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হল কদমখাল-লাল শাপলা বিল রাস্তা। ১০/১৫ জন চোরাকারবারির কারণে রাস্তারটি বেহাল অবস্থা। নিরবতা পালন করছে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত প্রশাসন।
সরেজমিনে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের কদমখাল টু লাল শাপলার বিল রাস্তা গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার মালিকরা ধান চাষের জন্য হাল দিয়ে রেখেছে। হয়ত কিছুক্ষনের মধ্যেই ধানের চারা রোপণ করা হবে। কদমখাল, ডিবিরহাওর গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলতে চাইলে কিছুই বলতে রাজি হননি। শুধু একটি কথা বলেন, রাস্তটি আমাদের গ্রামবাসীদের জন্য নয়, রাস্তাটি তাদের জন্য তৈরী করা হয়েছে। তারাই রাস্তার মেরামত ও দেখাশোনা করে। কারা দেখাশোনা করে জানতে চাইলে কিছুই বলতে রাজি নন তারা।
বিভিন্ন অনুরোধের পর গ্রামবাসীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা নিরীহ দিন মজুর ও জেলে প্রকৃতির নিম্ন আয়ের মানুষ এই এলাকায় বসবাস করি।
গত ৭ দিন পূর্বেই রাস্তার দুটি স্থান ছাড়া আর কোথাও কোন সমস্যা ছিল না। প্রভাবশালী ১০/১৫ জন চোরাকারবারীরা ডিআই ট্রাক ব্যবহার করে হাজার হাজার বস্তা মটরশুটি ভারতে প্রেরণ করে অবৈধ ভাবে ভারত হতে নিয়ে আসছে কসমেটিকস, শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, নিম্ন মানের চা-পাতা, বিভিন্ন ব্যান্ডের হরলিক্স, ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের মাদক দ্রব্য।
মালামাল পরিবহন করতে ব্যবহার করা হচ্ছে শক্তিশালী ডি.আই ট্রাক। ২কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তাটির প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার পুরো অংশে কাদায় পরিণত হয়ে জনসাধারন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা হতে ফজর পর্যন্ত এই রাস্তা ব্যবহার করা হয়।
চোরাকারবারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় গ্রামবাসীরা বাধা দিতে গেলে অবৈধ পণ্য দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ইতোপূর্বে নিরীহ গ্রামবাসীদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাস্তাটি চোরাকাবরারীরা ব্যবহার করে চোরাইপণ্য আনা নেওয়ার বিষয় উপজেলা প্রশাসনকে জানতে ভয় পান।
৪৮ বিজিবি’র ডিবির হাওর বিশেষ ক্যাম্পের কমান্ডার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি জানান, বিজিবি’র টহল জোরদার রয়েছে। আরও জোরদার করা হবে। তবে ডিবির হাওর সীমান্ত দিয়ে কেন অবৈধ কার্যক্রম হচ্ছে না।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক বলেন, চোরাচালান বন্ধে নজরদারি আরও জোরদার করার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে বিজিবিকে একাধিক বার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাস্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর কে/বি এন-০৩