নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ০৯, ২০২১
১১:১৪ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৯, ২০২১
১১:১৭ অপরাহ্ন
আগামী মঙ্গলবার থেকে সিলেট জেলায় ফাইজারের টিকাদান শুরু হতে পারে। ফাইজারের টিকায় সিলেটে অগ্রাধিকার পাবেন প্রবাসী ও বয়স্করা। নগরের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ টিকা দেওয়া হবে।
সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে বিশেষ ফ্রিজার ভ্যানে করে সিলেট বিভাগের তিন জেলায় ৫২ হাজার ৭৭০ ডোজ ফাইজারের টিকা এসে পৌঁছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় এসেছে ১৯ হাজার ৮৯০ ডোজ, সুনামগঞ্জে আসে ১৬ হাজার ৫০০ ডোজ এবং হবিগঞ্জে আসে ১৬ হাজার ৩৮০ ডোজ। এ সময় জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা টিকাগুলো গ্রহণ করেন।
সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যারা টিকার জন্য মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাননি, তাদের টিকা এ দেওয়া হবে না। তবে প্রবাসীরা নিবন্ধন না করলেও টিকাকেন্দ্রে গেলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদর্শন করতে হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ফাইজারের টিকা যে ফ্রীজে রাখা হয়েছে তার তাপমাত্রা ২ থেকে ৮ ডিগ্রী পর্যন্ত রাখতে হয়। এছাড়া সিসিকের টিকা সংরক্ষণের রুমে ১৭ টনের এসিও লাগানো হয়েছে। এদিকে যে স্থানে এই টিকা দেওয়া হবে তার তাপমাত্রা রাখতে হবে ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রীর মধ্যে। তাই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ছাড়া ফাইজারের টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না। সেলক্ষ্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫টি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষও নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত সিলেট মিররকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী মঙ্গলবার থেকে সিলেটে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু করতে পারব। তবে এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রে প্রবাসী ও বয়স্করা অগ্রাধিকার পাবেন।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম সিলেট মিররকে বলেন, ‘ফাইজারের টিকা দিতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা পেলেই নগরে এ টিকাদান শুরু হবে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে এ টিকা দেওয়া হবে।’
আর হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. একে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগামী সোমবার থেকে জেলায় ফাইজারের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবাসীরা অগ্রাধিকার পাবেন। এছাড়া জেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও প্রয়োজেন এ টিকা দেওয়া হতে পারে।’
জানা গেছে, কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় ফাইজারের এ টিকা দেশে আসে। প্রথম দফায় ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজারের টিকা দেশে আসে। দ্বিতীয় দফায় আসে ১০ লাখ ৩ হাজার ৮৬০ ডোজ টিকা। আর তৃতীয় দফায় আসে প্রায় ২৫ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা।
উল্লেখ্য, এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সিলেটে শুরু হয় টিকাদান কার্যক্রম। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে এই টিকা কার্যক্রম চলে। আর ৮ এপ্রিল থেকে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান শুরু হয়। তবে টিকা সঙ্কটের কারণে গত মে মাসে বন্ধ হয়ে যায় টিকাদান কার্যক্রম। পরে গত ১৯ জুন সিনোফার্মার প্রথম ডোজ প্রদান শুরু হয়। তবে এ সময় জেলায় একটি কেন্দ্রে মেডিকেল-নার্সিং শিক্ষার্থী এবং পূর্বের নিবন্ধন করে টিকা না পাওয়া ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছিল।
আর গত ১৩ জুলাই থেকে আবারও সবার জন্য টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। সিলেটে বর্তমানে ৩টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১২টি বুথে দেওয়া হচ্ছে সিনোফার্মের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা। আরেক কেন্দ্র পুলিশ হাসপাতালের ৩টি বুথে সিনোফার্মের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। আর নগর ভবনে দেওয়া হচ্ছে মডার্নার টিকা।
এনএইচ/আরসি-১২