নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১২, ২০২১
০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১২, ২০২১
০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
শিবিরের রাজনীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া ইকবাল হোসেন ইমাদ বলেছেন, তার এলাকায় একই নামে আরও এক ব্যক্তি রয়েছেন যিনি শিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত। এর সুবাদে প্রতিপক্ষ অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি দাবি করেছেন, একই ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের মাওলানা আব্দুন নূরের পুত্র ইকবাল হোসেন ইমাদ জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় এর দায় আমার তার চাপানো হচ্ছে। মূলত, নৌকা প্রতীক না পেয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি এই প্রার্থীর।
আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় সিলেট প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র মো. ইকবাল হোসেন ইমাদ। গত রবিবার রাতে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য সিলেটের ৪৫ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় তার নাম রয়েছে। তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এমনটা দাবি করছেন।
তবে, ইমাদ লিখিত সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, বিগত ২০০৩ সালে এসএসসি ও ২০০৫ সালে এইচএসসি পাস করে তিনি ২০০৭ সালে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে প্রবাসে পাড়ি জমান। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে ছিলেন। দেশে ফিরে ব্যবসার পাশাপাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মকাÐে নিজেকে যুক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের কোনো সদস্য জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, এখনই নেই এবং ভবিষ্যতেও যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
ইকবাল হোসন ইমাদ দাবি করেন, তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীক না পেয়ে দিকভ্রান্ত হয়ে মূলত তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অপপ্রচার রোধে তিনি প্রকৃত সত্য অনুসন্ধান করে প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি বিনীত আহŸান জানান।
ইমাদ কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য। দলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের ১৮ ভোটের মধ্যে ১১টি ভোট তিনি পান। দল তাকে নৌকা প্রতীকের জন্য মনোনীত করেছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমাদ আরও অভিযোগ করেন, কিন্তু, নির্বাচন ও মনোনয়নকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষ তার ছবি ব্যবহার করে ইকবাল হোসেন ইমাদ নামে ফেসবুক পেজ চালু করে। উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে ব্যাংকে কর্মরত) ইমাদের বিভিন্ন স্ট্যাটাস স্কিনশর্ট নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমাদের নাম জড়িয়ে অপপ্রচার করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইমাদ বলেন, ‘আমি জামায়াত-শিবির করলে আমার বিরুদ্ধে মামলা থাকত। কিন্তু কোনো মামলা নেই। আমার কিছু আত্মীয় আল ইসলাহ ও তালামীযে ইসলামিয়ার রাজনীতির সাথে জড়িত। এসব সংগঠন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেই সমর্থন দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিদেশ ঘুরেছি। কিভাবে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হয় আমার জানা আছে। নির্বাচিত হলে ইউনিয়নকে আধুনিক করতে সময় লাগবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ হাশিম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মইন উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমির আলী, শ্রমিক লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ, আওয়ামী লীগ নেতা নুর ইসলাম, আব্দুল্লাহ, আইন উল্লাহ, আপ্তাব উদ্দিন, নুর ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়না মিয়া, জমসিদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএইচ/আরসি-২০