সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ২৫, ২০২১
০৬:১৩ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২৫, ২০২১
১১:৪৫ অপরাহ্ন
প্রায় ১৫০ বছর পর অবশেষে আফ্রিকার জঙ্গলে দেখা মিলল বিশেষ এক ধরনের পেঁচার। ঘানার একটি জঙ্গলে ওই পেঁচার দেখা পেয়েছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।
এই পেঁচাটিকে শেলিস ইগল বলে ডাকা হয়। এতদিন পর এর দেখা পাওয়াটাকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
ধারণা করা হয় পেঁচার এই প্রজাতিটি গোটা বিশ্বে মাত্র কয়েক হাজারই টিকে আছে। এর অস্তিত্ব বিলুপ্তপ্রায়।
১৮৭০ সালের পর এ পাখিটার দেখা পাওয়ার কোনো রেকর্ড কারো কাছে নেই। ১৬ অক্টোবর সেই পাখিটিরই দেখা পেলেন ড. জোসেফ তোবিয়াস ও ড. রবার্ট উইলিয়ামস।
তারা মাত্র ১৫ সেকেন্ডের জন্য পাখিটির দেখা পেয়েছিলেন। কিন্তু তার মধ্যেই তারা পেঁচাটির বেশ কয়েকটি ছবি তুলে নিতে সক্ষম হন। কিন্তু এর বিশাল আকার, বিশেষ কালো চোখ, হলুদ ঠোঁট দেখে তাকে চিনতে মোটেই সমস্যা হয়নি বিজ্ঞানীদের।
ড. তোবিয়াস বলছেন, পেঁচাটা এত বড় যে প্রথমে আমি দেখে ভেবেছিলাম এটা হয়তো ঈগল হবে। আমাদের ভাগ্য ভালো যে, পেঁচাটা নিচু একটা ডালে বসেছিল। বাইনোকলার দিয়ে তার ওপর চোখ রাখতেই তো আমরা অবাক হয়ে যাই। আফ্রিকার কোনো জঙ্গলে এত বড় পেঁচা আর নেই।
ঘানার একজন শিকারির কাছ থেকে একটি নমুনা পাওয়ার পর ১৮৭২ সালে প্রথম এই পেঁচার কথা বলেছিলেন একটি জাদুঘরের বার্ড কালেকশনের কিউরেটর রিচার্ড বৌলডার শার্প।
গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় কেউ কেউ এ পেঁচার দেখা পাওয়ার কথা জানালেও কারো হাতেই কোনো প্রমাণ ছিল না।
পাখিদের নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই এ পেঁচার সন্ধান করছিলেন। তবে ঘানার এই জঙ্গলে এই পেঁচার দেখা পাওয়া যাবে বলে খুব একটা আশা ছিল না তাদের।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এ ঘটনাকে নতুন আশার উৎস হিসেবে দেখছে। এখন বিলুপ্তপ্রায় পাখিটিকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করা উচিত বলে মনে করছেন বিজ্ঞানারী।
বি এন-০২