চলতি মাসেই বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ০২, ২০২২
০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ০২, ২০২২
০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন



চলতি মাসেই বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা

চলতি জানুয়ারি মাসে দুই তিন দফা শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৪ ডিগ্রির ঘরে। এমনটাই বলছেন আবহাওয়াবিদরা।

পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজারের ওপর দিয়ে বর্তমানে বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। এখন হালকা অবস্থায় থাকলেও এটি আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি হালকা (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও দু’টি মাঝারি থেকে তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্য প্রবাহ হতে পারে।

এছাড়া চলতি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদীর অববাহিকায় মাঝারি/ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা/মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।

এই অবস্থায় রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়বে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার। সোমবার নাগাদ রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাবে। আর বর্ধিত পাঁচদিনের আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

এদিকে শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ২৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরসি-০৪