দেশ আমলাতন্ত্রের হাতে জিম্মি, সংসদে এমপি নাজিম

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ১৭, ২০২২
০৮:১৭ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১৭, ২০২২
০৮:১৭ অপরাহ্ন



দেশ আমলাতন্ত্রের হাতে জিম্মি, সংসদে এমপি নাজিম

দেশ আমলাতন্ত্রের হাতে জিম্মি হয়ে গেছে উল্লেখ করে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমলারা এমপিদের শুধু স্যারটাই বলে। এই স্যারটা না বলে পারে না। আমলাতন্ত্রের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। সংসদ সদস্যদের বলব, দয়া করে আমলাতন্ত্র থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আপনারা শক্ত হন। শক্ত না হলে তারা আমাদের গুরুত্ব দেবে না।

আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে এই আহ্বান জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, সত্য কথা বললে বিষয়টি বিরোধীদলের ফ্লোরের মতো হয়ে যায়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কিন্তু আমরা ভুগছি। আমলারা যেভাবে কথা বলেন! আমলাদের কাছে এমপির মূল্য নেই, কোনো মূল্যায়ন নেই। তাদের শ্রদ্ধাবোধ নেই। পিয়ন পর্যন্ত আজকে আমাদের দাম দেয় না। এ বিষয়ে সকলকে স্বোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বহুল ব্যবহৃত ভিডিও দেখার মাধ্যম ইউটিউব বন্ধের দাবি জানান নাজিম উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ইউটিউবে দেখি খালেদা জিয়া মরে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা কালকেই ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাচ্ছেন। আবার দেখি সেনা প্রধানদের টেনে নামানো হচ্ছে। এভাবে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে, তথ্য মন্ত্রণালয় কী করে আমরা বুঝি না। কালকে সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনবেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় নেই- এই যে কথাগুলো বলা হয়, আমরা স্তম্ভিত হয়ে যাই। অথচ বলা হয়, সত্য ঘটনা। এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। গ্রামের মানুষগুলো এসব দেখে ভাবেন, না জানি বাংলাদেশে কী হচ্ছে! তথ্য মন্ত্রণালয়কে বলব, দরকার হলে ইউটিউব বন্ধ করে দেন। ক্রিমিন্যাল ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে আমাদের কোনো আপস থাকতে পারে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নিজের নির্বাচনী এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজের প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও তাতে গতি নেই অভিযোগ করে সরকার দলীয় সদস্য নাজিম উদ্দিন বলেন, এলাকার স্কুল-কলেজ ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদ নির্মাণ কাজের ডিজাইন দেওয়া হলেও সেই কাজ হয়নি। সমস্ত কাজ একের পর এক বন্ধের পথে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঠিকাদাররা বলেন, টাকা পাইনি, কাজ কোত্থেকে কর। এমপির কোটার ২০ কোটি টাকার কাজও করা হয় না। এ রকম হলে নির্বাচনের সময় মানুষের কাছে জবাব দিতে পারব না। নির্বাচনের আগে সামনে দুই বছর সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে কাজগুলো শেষ করতে না পারলে নির্বাচনের সময় জনগণের সঙ্গে কথা বলা যাবে না বলে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

আরসি-২৩