শাবিপ্রবিতে পুলিশি হামলা, সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক


জানুয়ারি ১৯, ২০২২
১১:০৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২০, ২০২২
১২:১৮ পূর্বাহ্ন



শাবিপ্রবিতে পুলিশি হামলা, সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া

শাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক মেহেদী , শাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুস্তফা মনওয়ার সুজন, সমাজকর্ম বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী গাজীউল হক সোহাগ, চোখ ফিল্ম সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কান্তি ধর, পদার্থবিজ্ঞানের নবম ব্যাচের এহেছান লেনিন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রবাহ পুড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের।

তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠার ত্রিশ বছরের মধ্যে ক্যাম্পাসে এমন ন্যাক্কারজনক পুলিশি হামলা কখনও দেখেননি তাঁরা। শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলা বেদনার, হতাশারও। প্রিয় ক্যাম্পাসে গুলি-গ্রেনেড যেন তাদের হৃদয়কেও পুড়াচ্ছে। এমন আচরণকে তারা ন্যক্কারজনক, ক্ষমার অযোগ্য, অভব্য আচরণ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলন ও ঘটনা প্রবাহ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হলে দৈনিক সিলেট মিররকে এসব কথা বলেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। 

এটা অপ্রত্যাশিত এবং হতাশাজনক, আমি বাকরুদ্ধ : ফারুক মেহেদী 

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় আমার প্রাণ, অস্তিত্বের প্রিয়তম স্থান! আমার যৌবনের সেরা সময় আমি কাটিয়েছি এ ক্যাম্পাসে। পড়াশোনার রুটিন ছাপিয়ে এখানের আলো-বাতাসেই গড়ে উঠে আমার এবং আমার মত হাজারও শিক্ষার্থীর আদর্শ ও জীবনবোধ। প্রায় দুই দশক আগে ছেড়ে আসা ওই ক্যাম্পাসে গত কয়েক দিন ধরে যা ঘটছে, তা রীতিমত বাকরুদ্ধ করেছে আমাকে। গণমাধ্যমে যা দেখছি, শুনছি তা এক কথায় অপ্রত্যাশিত এবং হতাশাজনক। 

ছাত্রীদের সাধারণ কয়েকটি সমাধানযোগ্য দাবি নিয়ে আলোচনা না করে, প্রতিরোধ ও দমনের মধ্য দিয়ে পুরো ছাত্র-সমাজকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। আমি মনে করি, এটা রীতিমত সামন্ততান্ত্রিক মনোভাব ও চ‚ড়ান্ত অদূরদর্শিতা। ক্যাম্পাসের সাবেক গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে এরকম অসংখ্য ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর অভিজ্ঞতায় বলতে পারিÑএর আগে ওই ক্যাম্পাসেই ঘটে যাওয়া এর চেয়েও জটিল ও স্পর্শকাতর অঘটনও এমন নৃশংসভাবে মোকাবেলা করতে হয়নি। তখনও শিক্ষার্থীদের উপর এভাবে পুলিশি আক্রমণ করতে হয়নি। শীর্ষ পর্যায়ে এতটা সংযম, ধৈর্য্য আর সহনশীলতার অভাব এবারই প্রথম দেখলাম। 

শাবি প্রতিষ্ঠার ত্রিশ বছরে এমন ঘটনা কেউ দেখেনি : মুস্তফা মনওয়ার সুজন 

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক এই মুহ‚র্তে যা ঘটেছে সেটা নজিরবিহীন ও অভ‚তপূর্ব। শাবি প্রতিষ্ঠার ত্রিশ বছরে এমন ঘটনা কেউ দেখেনি, শোনেনি। ছাত্রছাত্রীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে গুলির ঘটনা পাকিস্তান আমলে ঘটত বলে শুনেছি, এবার শাবিতে দেখলাম। 

সাধারণত শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ধৈর্য হারিয়ে জ্বালাও-পোড়াও-ভাঙচুর করে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুই-চার মিনিটও অপেক্ষা না করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা কখনো জানা যাবে কিনা জানি না; তবে প্রত্যক্ষ করলাম, অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের ঘটনাস্থল আইআইটিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে কাতরাচ্ছে। আজ (গতকাল) মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেখলাম, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তাতে অজ্ঞাতপরিচয় দুই-তিনশ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে আমি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আন্দোলন-সংগ্রাম তখন আমরাও কম করিনি। তৎকালীন ভিসি হাবিবুর রহমান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মিরাজউদ্দিন মন্ডল, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনের মতো বিখ্যাত শিক্ষকদের আমরা ৩০ ঘণ্টার বেশি ভিসিভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলাম। তাদেরতো শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ধৈর্য হারাতে দেখিনি। তারা ছাত্র আন্দোলন মোকাবিলা করেছেন সম্ভাব্য দাবি মেনে অথবা কৌশলে। 

শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষয়ে ক্ষয়ে এতো বদলে গেছে যে, কেউ টেরই পেল না। গুলি করে ছাত্র আন্দোলন দমাতে হবে কেনো? এর জন্য দায়ী কে সেই প্রশ্ন করছি না। তবে শিগগিরই সংকট নিরসন প্রয়োজন। নীতিনির্ধারকরা আর এক মুহ‚র্ত কালক্ষেপণ না করে পদক্ষেপ নিন, আর যেনো কোনো শিক্ষার্থীর এক বিন্দু রক্ত না ঝরে। 

সরকারের কাছে সবিনয়ে নিবেন, দয়া করে দলবাজ ভিসিদের সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখনই প্রত্যাহার করে নিন। গোয়েন্দা দিয়ে চিরুনি অভিযান চালিয়ে খুঁজে বের করুন শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং সৎ চরিত্রের পন্ডিতদের। ১৯৭২ এর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া উপহার ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ত্বশাসনের’ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এসব দলকানা ভিসিদের কারণে পদে পদে বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা ‘হিরক রাজা ভিসি’ চাই না; যতো দ্রুত সম্ভব এদেরকে খাঁচায় আটকানো যাবে, বিপদের শঙ্কা ততো কমে আসবে। 

শাবিপ্রবিতে এমন পরিস্থিতি দেখে আমি স্তম্ভিত : গাজীউল হক সোহাগ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের আর দশটা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ব্যতিক্রম। এখানকার প্রশাসন, পড়াশোনার মান, শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক মান উন্নত। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে হরিহর আত্মার সম্পর্ক। এরই মধ্যে প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার মন্তব্য নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটে গেল। লিজা রাজনৈতিক সচেতন পরিবারের সদস্য। তাঁর ভাই আহমেদ নাসিম সাঈদী এক সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী শিক্ষক ছিলেন। পরিস্থিতি সামলাতে লিজার সমস্যা হওয়ার কথা না। এরপরের পরিস্থিতি দেখে শুনে স্তম্ভিত আমরা। 

পুলিশ কেন এমনভাবে হামলা করল? নেপথ্যে কারা? তাঁদের উদ্দেশ্যে কী? এমন নানা প্রশ্ন সাবেক শিক্ষার্থী (১৯৯৬-১৯৯৭ শিক্ষাবর্ষ, সপ্তম ব্যাচ, সমাজকর্ম) হিসেবে আমার মনে এসেছে। কেউ হয়তো ভাবছেন দ্বিতীয় মেয়াদে ফরিদ উদ্দিন স্যারকে ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের কেউ ইন্ধন দিয়ে ক্যাম্পাস অস্থির করেছে। আমরাও ক্যাম্পাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম হলের নামকরণ নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছি। ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন করেছি। গ্রেডিং পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলন করেছি। কখনো পুলিশ এমন ন্যাক্কার জনক আচরণ করেনি। তাহলে এবার কেন হল? এটা গোয়েন্দা সংস্থাকে খুঁজে বের করতে হবে? ছাত্রলীগ ও পুলিশকে ব্যবহার করে এমন ঘটনা কাম্য ছিল না। অতীতে ছাত্রদল, পুলিশ দিয়ে সাবেক ভিসি মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ দমন কাজ করেও পার পাননি। গবেষণা, মুক্ত সংস্কৃতির তীর্থকেন্দ্র থেকে সব অন্ধকার দূর হোক। পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। 

সুবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি প্রশাসন : শ্যামল কান্তি ধর

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে শুন্য দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অনেকবার কঠিন ছাত্র আন্দোলনে বিপর্যস্ত হতে হয়েছিল। এর মধ্যে হল ও একাডেমিক ভবনের নামকরণের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলন যেমন ছিল, তেমনি ছিল আবাসন সমস্যা, পরিবহন সমস্যা, গ্রেডিং পদ্ধতি ইত্যাদিসহ আরও অনেক আন্দোলন। এইসব আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছর শিক্ষাজীবন শেষ হতে সাত থেকে আট বছর লেগেছিল। এইসব আন্দোলনে অনেকবারই উপাচার্যসহ অন্যান্য সিন্ডিকেট সদস্যদের উপাচার্য বাসভবনে কিংবা কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হতে হয়েছে এবং তা কখনো সারারাতব্যাপীও ছিল। কিন্তু ক্যাম্পাসের ভেতর কখনও ছাত্রদের উপর পুলিশি অ্যাকশনের প্রয়োজন পড়েনি কিংবা পড়লেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন। তখন আন্দোলন যেমন হত, তেমনি ক্যাম্প্যাস মুখরিত থাকত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাÐেও। 

কিন্তু এবারের ছাত্রীদের আবাসন সমস্যা নিয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের আন্দোলনগুলোর চেয়ে অনেক নিরীহ ছিল বলা যায় এবং ছাত্রছাত্রীদের দাবিগুলোর সমাধান খুব সহজেই আন্তরিকতার সঙ্গেই করা যেত, তা না করে যেভাবে ক্যাম্পাসে পুলিশের সাজোয়া যান জড়ো করা হলো তা সুবিবেচনা প্রসুত হয়নি বলেই আমার মনে হয়েছে। 

তাই ছাত্রছাত্রীদের দাবিগুলো আজ একদফাতেই পরিণত হয়েছে বলা যায়। এই পরিস্থিতিতে বহুবছর পর আমার অশান্ত শাবি ক্যাম্পাস। সব আন্দোলনের-ই সমাধান হয়। এই আন্দোলনেরও এক সময় সমাধান হবে, হতেই হবে। কিন্তু সময়ক্ষেপণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাজীবনকে যেন ক্ষতিগ্রস্ত করা না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তাই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ছাত্র হিসেবে মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং তা অতি অবশ্যই আন্তরিকতার সঙ্গে। যে সমাধান পরে হবেই, তা আজকে কেন নয়?

এমন ন্যক্কারজনক, অভব্য আচরণ মনে পড়ে না : এহেছান লেনিন

আমরা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক উপাচার্য পাওয়া ব্যাচ। চার জন প্রশাসক পেয়েছিলাম ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সালের ব্যবধানে। অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমান, মো. সালেহ উদ্দীন, এম শফিকুর রহমান এবং মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ। অনেক আলোচিত কিংবা সমালোচিত ঘটনার জন্ম যেমন দেখেছি, সমাধানও পেয়েছি। তবে বর্তমান সময়ের মতো এমন ন্যক্কারজনক, ক্ষমার অযোগ্য, অভব্য আচরণ মনে পড়ে না। আমার মনে পড়ে না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আন্দোলনে জলকামান ব্যবহার হয়েছিল কি না। মনে পড়ে না টিয়ারশেল আদৌ পুড়েছিল কিনা এই ক্যাম্পাসে। পুলিশি নির্যাতনে কোনো শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা স্মৃতিতে ভাসে না! 

আসলে কোনো ঘটনাই তুচ্ছ নয়। প্রতিটি ঘটনার নিজস্ব ‘ম্যাগনিচিউড’ থাকে। বিষয় হলো প্রশাসকরা সেই সমস্যাটিকে কতোটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে, বর্তমান প্রশাসন শুরু থেকেই সমস্যাকে গুরুত্ব না দিয়ে জোর প্রয়োগ করে ‘বাইপাস’ করতে চেয়েছিলেন। সে বিবেচনায় বর্তমান প্রশাসনের ক্ষমার অযোগ্য অদক্ষতা ঢাকার উপায় নেই। বিগত সময়ের পর্যালোচনা থেকে মনে হয়েছে, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি সিলেট অঞ্চলের অনুভূতির নাম। এই অনুভূতিকে বুঝতে হলে অনুভূতির ধারক-বাহক হওয়া প্রয়োজন। অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমদানি করা প্রশাসক বা ‘অতিথি পাখি’ দিয়ে সমস্যাকে কিছু সময়ের জন্য হয়তো ‘বাইপাস’ করা সম্ভব, স্থায়ী সমাধান পাওয়ার আকাক্সক্ষা উচ্চাবিলাস ছাড়া কিছুই নয়! 

ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীদের উপর এমন নির্মম হামলার নিন্দা জানাই। ধিক্কার বর্তমান প্রশাসনকে। সিলেট অঞ্চলের অনুভ‚তি বোঝেন, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকেই উপাচার্য নির্বাচিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। 

আরসি-২৬