গালিবের সেঞ্চুরিতে জিমখানার জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক


জানুয়ারি ২০, ২০২২
১১:২৮ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২০, ২০২২
১১:২৮ অপরাহ্ন



গালিবের সেঞ্চুরিতে জিমখানার জয়
অ্যাপোলকে হারিয়েছে ওয়ান্ডারার্স

পঞ্চম ওভারেই নেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান। রানের সংখ্যা তখন ত্রিশের ঘরে পৌঁছায়নি। চতুর্থ উইকেট জুটি কিছুটা স্বস্তি দিলেও বেশি দূর যেতে পারেনি। এমন সময় যেন ত্রাতা হয়ে এলেন গালিব। খেললেন শতরানের অনবদ্য এক ইনিংস। তাতেই আড়াইশ অধিক রানের পুঁজি পায় জিমখানা ক্লাব। সেই পুঁজি সিলেট প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে অনির্বাণ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে দলটিকে এনে দিয়েছে ৪০ রানের জয়। 

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টসে জিতে জিমখানাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অনির্বাণ অধিনায়ক ময়নূল। ইনিংসের শুরুটা করতে পেরেছিলেন পরিকল্পনা মাফিকই। এতে হোচট খায় জিমখানা ক্লাব। দলটির অপেনিং জুটি ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় উইকেট যেতেও বেশি সময় লাগেনি। মাত্র ২৪ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় জিমখানা। 

চতুর্থ উইকেট জুটিতে অমিত ও কামরুল দায়িত্ব নেন। ২২ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো একটা ইনিংস খেলেন অমিত। তবে দলের অবস্থা অনুযায়ী দায়িত্ব নিতে পারেননি তিনি। দলীয় ৭৮ রানের মাথায় তিনি ফিরে যান। এরপরই জিমখানা ক্লাবের পক্ষে ত্রাতা হয়ে যেন মাঠে এলেন গালিব। খেললেন দৃষ্টিনন্দন কিছু শট। কিন্তু কামরুল, জাবেদ কিংবা জায়েদদের কেউই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। সবাই ফিরে গেছেন এক এক করে। 

তবে শেষ দিকে সফর ৫৩ বল টিকে থেকে দারুণ এক সঙ্গ দেন গালিবকে। এতে সেঞ্চুরি পেতে বেগ পেতে হয়নি তাকে। ১৫৫ মিনিট ক্রিজে থেকে ১২৩ বলে ১১৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন তিনি। ১০টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার এই ইনিংসটি। সফর ২৭ রানে অপরাজিত থাকলে ২৫৪ রানে গিয়ে থামে জিমখানা ক্লাবের ব্যাটিং ইনিংস।

অনির্বাণের হয়ে নাহিদ সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মামুন, মুকুল ও অমিত একটি করে উইকেট শিকার করেন। 

২৫৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ ছিল না অনির্বাণেরও। মাত্র ২৫ রানেই তিনটি উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ওপেনার আজির এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করলেও অন্য প্রান্তে চলছিল শুধু যাওয়া-আসা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে বক্কর এসে হাল ধরেন। তবে সেটাও বেশিদূর যেতে দেননি জিমখানার বোলাররা। এরপর শামিম ও তরিকুল কিছুটা আশা জাগালেও শেষ রক্ষা আর হয়নি। ২১৬ রানেই থেমে যেতে হয় অনির্বাণকে। দলের পক্ষে বক্কর ৬৫, আজির ৩৮, শামিম ৩২ ও তরিকুল ১৯ রান করেন। 

জিমখানার হয়ে রাহি ও সফর তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মেনন ও জাবেদ একটি করে উইকেট শিকার করলে ৪০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জিমখানা। ম্যাচ সেরা হয়েছেন জিমখানার খেলোয়াড় গালিব।

এদিকে দিনের অপর ম্যাচে অ্যাপোলো-১১ ক্লাবকে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে ওয়ান্ডারার্স ক্লাব। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে আগে ব্যাট করে মাত্র ১৭৭ রান সংগ্রহ করে অ্যাপোলো-১১ ক্লাব। দলের পক্ষে শিব্বির সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন। এছাড়া সুজন খেলেন ২৮ রানের একটি ইনিংস। ওয়ান্ডারার্সের হয়ে মুর্শিদ তিনটি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া ফাহাদ ও টিপু দুটি করে উইকেট শিকার করেন। রাহাদ নেন একটি উইকেট।

১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়ান্ডারার্স। দলটির ওপেনার মুর্শিদ সর্বোচ্চ ৭১ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া ইমন ৫০ রান করেন। অ্যাপোলোর হয়ে মিনহাজ তিন উইকেট শিকার করেন। এছাড়া সুজন, সাহান ও শিব্বির একটি করে উইকেট লাভ করেন। ম্যাচ সেরা হন ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ব্যাটার মুর্শিদ।

আরসি-২৮