শাবির নতুন প্রক্টরেরও অপসারণ চায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক


ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
০৬:২২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
০৬:২৪ পূর্বাহ্ন



শাবির নতুন প্রক্টরেরও অপসারণ চায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

একদিন আগেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নতুন প্রক্টরকে। ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইশরাত ইবনে ইসমাইল এই পদের দায়িত্ব নিতে না নিতেই তাকে অপসারণের দাবি তুলেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন প্রক্টরের সামনে একটি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছিল। সেটি প্রতিহত করার কোনো উদ্যোগ তিনি নেননি। এ কারণে তিনি প্রক্টর পদের জন্য অনুপযোগী বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

একইসঙ্গে তারা জানালেন, একদিনের জন্য উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ও মন্ত্রীর ক্যাম্পাস সফর শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানিয়েছেন ইয়াসির সরকার।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আলমগীর কবিরকে সরিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে প্রক্টর করা হয় ইশরাত ইবনে ইসমাইলকে।

এ বিষয়ে ইয়াসির বলেন, ‘নবনিযুক্ত প্রক্টরে সামনে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করা হয়েছিল। তবে তিনি সে সময় ঘটনাটি প্রতিহত করার কোনো উদ্যোগ নেননি। ওই ঘটনাটি এখন তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাকে (ইশরাত ইবনে ইসমাইলকে) দেয়া অনুচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তাকে অপসারণের জন্য আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছি। মন্ত্রী আমাদের এ ব্যাপারে যথাযত উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া আগামীতে প্রক্টর নিয়োগে শিক্ষার্থীদের মতামত নেয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।’

চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে ইয়াসির বলেন, ‘আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ৮টি দাবি জানিয়েছি। এর মধ্যে আমাদের প্রধান দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া বাকি সবগুলো ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন মন্ত্রী। এগুলো দ্রুত পূরণের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। উপাচার্যের অপসারণ যেহেতু তার এখতিয়ারভুক্ত নয়, তাই বিষয়টি তিনি আচার্যকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।’

আরসি-০৩