খেলা ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
০১:৩১ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
০১:৩১ অপরাহ্ন
মাস্ট উইন ম্যাচে জয়ের জন্য টার্গেট ছিল ১৮৩ রানের। টুর্নামেন্টে গড়পড়তা পারফর্মেন্স করা খুলনা টাইগার্সকে নিয়ে তাই অনেকেই আশা করতে পারেনি। কিন্তু ক্রিকেট হলো মহান অনিশ্চয়তার খেলা। বাইশ গজে নামলেই অনেককিছু বদলে যায়।
সেটাই আরও একবার করে দেখালেন খুলনা টাইগার্সের দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার এবং শেখ মেহেদি। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৯ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলল মুশফিকুর রহিমের দল। একইসঙ্গে বিপিএল থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন। তারকাবহুল দল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার।
রান তাড়ায় নেমে আগ্রাসী মেজাজে ধরা দেন খুলনার ক্যারিবীয় ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। দ্বিতীয় ওভারে আবু হায়দার রনিকে একটি করে চার-ছক্কা মেরে পরের ওভারেই নাহিদুলকে জোড়া ছক্কা 'উপহার' দেন। তার সঙ্গী শেখ মেহেদিও কম যাচ্ছিলেন না। মাত্র ২৫ বলে ৪টি করে বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতে ফিফটি তুলে নেন ফ্লেচার। ৯.১ ওভারেই একশ ছাড়িয়ে যায় খুলনার স্কোর। মঈন আলীর করা ১২তম ওভারের প্রথম বলে ব্যাক্তিগত ৭১ রানে ফ্লেচারকে লেগ বিফোর দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ফ্লেচার।
পরের বলেই বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে মঈনকে জবাব দেন ফ্লেচার। অন্যদিকে শেখ মেহেদিও ৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেন। দল যখন জয় থেকে ৫ রান দূরে, তখনই ৫৯ বলে ৬টি করে চার-ছক্কায় তিন অংকে পৌঁছে যান ফ্লেচার। জয় থেকে ১ রান দূরে থাকতে মঈন আলীর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪৯ বলে ৬ চার এবং ৪ ছক্কায় ৭৪ রান করা মেহেদি। ৮ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলে খুলনা টাইগার্স। ৬২ বলে ১০১* রানে অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে ফ্লেচার।
এর আগে আজ শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৮২ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলীয় ১৭ রানেই শেখ মেহেদির বলে বিদায় নেন পারভেজ ইমন (৭)। নিয়মিত অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের বদলে সুযোগ পাওয়া মুমিনুল হকও ৭ রান করে রান-আউট হয়ে যান। অপর ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিস। ৩৫ বলে ৪৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙে ২৭ বলে ৩১ রান করা মাহমুদুলের রান-আউটে। চারে নেমে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিস। মাত্র ৩০ বলে তুলে নেন ফিফটি।
এরপর তিনি যেন আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। গত ম্যাচের হিরো মঈন আলীআজ ৯ বলে ৮ রান করে ফরহাদ রেজার শিকার হন। ডুপ্লেসিসের সঙ্গী হন মহিদুল ইসলাম অংকন। দ্রুতই তিন অংকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ডুপ্লেসিস। পরের ফিফটি পূরণ করতে সময় নেন মাত্র ২২ বল। ৫২ বলে পৌঁছে যান তিন অংকে। চার মারেন ১২টি আর ছক্কা ৩টি। অবশ্য নাভিন উল হককে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৫৪ বলে ১০১ রানেই শেষ হয় তার ইনিংস। ১১ বলে অপরাইত ২০* রান করেন অংকন। কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৮২ রান। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন নাভিন উল হক, শেখ মেহেদি আর ফরহাদ রেজা।
আরসি-২৫