সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
০৯:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
০৯:৪৬ অপরাহ্ন
ইউক্রেনের রাজধানীর রাস্তায় এখন গুলির লড়াই চলছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর। ক্রমেই সাধারণ মানুষ দেশের রাজধানী ছেড়ে পালাচ্ছেন অন্যত্র। অনেকেই আবার আটকে পড়েছেন। এরই মাঝে থেকে থেকে গর্জে উঠছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান। বোমা বর্ষণের ভয়ে কিয়েভের বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন বাঙ্কারে। এমন আবহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সেখান থেকে ‘উদ্ধার’ করার প্রস্তাব দিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু মার্কিন এই ‘সাহায্য’ ফিরিয়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের সাথে কথোপকথনের সময় ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘লড়াই এখানে; আমার গোলাবারুদ দরকার, আমাকে সরিয়ে নেওয়ার দরকার নেই।’
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রটেছিল। এরপর এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি সবাইকে আস্বস্ত করে বলেন, তিনি দেশে আছেন। শুধু তাই নয়, তিনি দেশবাসীকে রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে নিজের দেশকে রক্ষা করার বার্তা দিলেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রেসিডেন্টের ভিডিও টুইট করেছে।
এতে জেলেনস্কিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা সবাই এখানে আছি। আমাদের সেনাবাহিনী এখানে আছে। সমাজের নাগরিকরা এখানে। আমরা এখানে সবাই আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের দেশকে রক্ষা করছি এবং এই কাজ আমরা এভাবেই করতে থাকব।’
ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সবুজ রঙের সামরিক ধাঁচের পোশাক পরেছেন। তার পাশে দাঁড়িয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী, চিফ অব স্টাফ এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশের মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় অনেকে তার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তাকে ‘প্রকৃত দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট’ হিসাবে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।
মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি বলছে, কিয়েভে ব্যাপক সংঘর্ষের কারণে শত শত হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া কামানের গোলার আঘাতে কিয়েভের অনেক আবাসিক ভবন, সেতু ও স্কুল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া হামলার মাধ্যমে রাশিয়া ইউক্রেনের সরকারকে উৎখাত করতে পারে, এমন ইঙ্গিতও জোরালো হয়েছে।
বি এন-১০