অনন্ত বিজয় হত্যা : পলাতক তিন আসামির যুক্তিতর্ক সোমবার

নিজস্ব প্রতিবেদক


মার্চ ১১, ২০২২
০১:২১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ১১, ২০২২
০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন



অনন্ত বিজয় হত্যা : পলাতক তিন আসামির যুক্তিতর্ক সোমবার

বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যা মামলায় সোমবার (১৪ মার্চ) পলাতক তিন আসামির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের অবশিষ্ট অংশ শুনানি শেষে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন পলাতক আসামিদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদীপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। পরবর্তীকালে গতকাল বুধবার ও আজ আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মনির উদ্দিন সিলেট মিররকে বলেন, ‘আজ অভিযোগপত্রভুক্ত দুই আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। তবে পলাতক আসামি আবুল হোসেন, ফয়সল আহমদ, মামুনুর রশিদ—এই তিন আসামির জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নিযুক্ত আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন বাকি রয়েছে। ফলে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল সিলেটের বিচারক ১৪ মার্চ পলাতক আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিনক্ষণ ধার্য করেছেন। যুক্তিতর্ক শেষ হলে পরে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করার কথা রয়েছে।’ চলতি মাসেই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি আবুল খায়ের রশীদ আহমদ, সাফিউর রহমান ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, সাবেক সরকারি কৌঁসুলি মিসবাহ উদ্দিন, সমর বিজয় শেখর ও মোহাম্মদ মনির উদ্দিন। আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে অংশ নেন আবদুল আহাদ ও ইমরান আহমদ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নুরানি আবাসিক এলাকার নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত। পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।

মামলাটি পুলিশ থেকে অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৯ মে সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। এতে সন্দেহভাজন আটক ১০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ২৯ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বীরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫), কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪), কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫) ও সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বসবাসকারী সাফিউর রহমান ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০)।


এএফ/০২