নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১১, ২০২২
০২:১৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১১, ২০২২
০২:১৫ পূর্বাহ্ন
অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যা চেষ্টা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লবের আদালতে শেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের চিকিৎসক ডা. এম এ মামুন।
আদালতের বিশেষ পিপি মুমিনুর রহমান টিটু খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আগামী ২১ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ড. জাফর ইকবালকে হত্যার চেষ্টা চালায় ফয়জুর নামের এক যুবক। ছুরি দিয়ে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন তিনি। আহত অবস্থায় জাফর ইকবালকে প্রথমে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করেন। এতে ফয়জুরকে প্রধান আসামি করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ঐদিন ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর শিক্ষার্থীরা গণপিটুনি দিয়ে ফয়জুরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ আলামত হিসেবে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত ছুরি ও ফয়জুরের বাইসাইকেল উদ্ধার করে।
পরে ৮ মার্চ তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ফয়জুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। তার আগে ২৬ জুলাই ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন, ফয়জুলের বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান।
আরসি-১৬