আদালতে সাক্ষ্য দিলেন নিহত রায়হানের স্ত্রী

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ১১, ২০২২
০৩:৫৫ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ১১, ২০২২
০৩:৫৭ অপরাহ্ন



আদালতে সাক্ষ্য দিলেন নিহত রায়হানের স্ত্রী

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আজ বুধবার (১১মে) মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার বাদী ও নিহত রায়হান আহমদের স্ত্রী  তাহমিনা আক্তার তান্নী সাক্ষ্য দেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আরও দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।

সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) নওশাদ আহমেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আজ বাদীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সময় চাওয়ায় আজ জেরা করা হয়নি। আদালত তাদেরকে একদিন সময় দিয়েছেন। আগামীকাল তারা জেরা করবেন। এরপরে রায়হানের মা সালমা বেগম ও চাচার সাক্ষ্য নেওয়া হবে।

তিনি জানান, এই মামলায় ৬৯ জন সাক্ষী রয়েছেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত তারিখ থাকলেও এক আইনজীবীর মৃত্যুতে কোর্ট রেফারেন্স থাকায় এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে প্রধান অভিযুক্ত আকবর ১৩ অক্টোবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান। ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২১ সালের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী, মো. হারুন অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, ফাঁড়ির টুআইসি পদে থাকা মো. হাসান উদ্দিন ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্রভুক্ত ছয়জন আসামির মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাবন্দী। অভিযোগপত্রভুক্ত ৬ নম্বর আসামি আবদুল্লাহ আল নোমান পলাতক। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয় এবং একমাত্র পলাতক আসামি নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরে তার মালামাল ক্রোক ও সর্বশেষ পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। কয়েকদফা পিছিয়ে গত ১৮ এপ্রিল চার্জ গঠন করে আদালত। 

আরএম-০৬