অনন্ত হত্যার ৭ বছর, রায় কার্যকর ও স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক


মে ১২, ২০২২
০৭:১৮ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ১২, ২০২২
০৭:১৮ অপরাহ্ন



অনন্ত হত্যার ৭ বছর, রায় কার্যকর ও স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভের দাবি

বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী লেখক অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যার ৭ বছর পূর্তি হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ মে)। ৭ বছর পূর্তিতে অনন্তকে স্মরণ করেছে তার সহযোদ্ধা, এলাকাবাসী ও সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এ সময় তারা দ্রুত অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার রায় কার্যকর ও হত্যাকান্ডস্থলে স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির দাবি জানান। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকেলে নগরের সুবিদবাজারস্থ অনন্ত বিজয় দাসের হত্যাকান্ডের স্থানে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এ সব দাবি জানান।

‘সহযাত্রী ও এলাকাবাসী’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণজাগরন মঞ্চ সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী, অনন্ত বিজয়ের ভগ্নিপতি অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর, সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, অনন্ত বিজয় দাস হত্যা মামলার বাদিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মনির উদ্দিন, নগরনাট সিলেটের সভাপতি উজ্জ্বল চক্রবর্তী, অরুপ বাউল, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের অন্যতম সংগঠক রাজীব রাসেল, লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব রাসেল, যুব ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দাস খোকন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সরোজ কান্তি, জেলা সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক, ছাত্র কাউন্সিল নগরের সাধারণ সম্পাদক তানজিনা বেগম, বিশিষ্ট আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন, সংস্কৃতি কর্মী রনি দাস প্রমুখ।

এর আগে অনন্ত বিজয় দাসের অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ফুল দেওয়া হয়। পরে ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। পরে অনন্ত স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আজকের এই দিনে নৃশংসভাবে অনন্ত বিজয়কে মৌলবাদী গোষ্ঠী কুপিয়ে হত্যা করে। তাকে ও অন্যান্য মুক্তমনা লেখকদের হত্যার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল মুক্তমতকে থামিয়ে দেওয়া। তবে তারা সফল হয়নি। আজও মানুষ মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে যাচ্ছে। তবে এখনো আমাদের শিক্ষকরা ক্লাসে বিজ্ঞানের কথা বলে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাই এখানে দাঁড়িয়ে আমরা মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি জানাই।’

তারা আরও বলেন, ‘৬ বছরের বেশি সময় পর সম্প্রতি আমাদের সহযোদ্ধা অনন্ত বিজয় দাসের হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। তবে মৃতুদন্ডপ্রাপ্ত ৪ জনের মধ্যে ৩ জন আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যা আমাদের হতাশ করছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি আমরা।’

বক্তারা বলেন, ‘যে স্থানে অনন্তকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে একটি অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞান যাত্রাকে এগিয়ে নিতে যেয়ে যিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তার জন্য আমরা একটি স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভের দাবি জানাই। সিলেট সিটি করপোরেশনকে অবিলম্বে হত্যাকান্ডস্থলে স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হবে।’

বিএ-০৩