সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ১৫, ২০২২
০৪:০৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ১৫, ২০২২
০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় বাতিলকৃত সুলতানপুর ও কাজলসার ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ আজ (বুধবার)। উত্সবমুখর এ নির্বাচন নিয়ে যেমন রয়েছে উত্তেজনা, তেমন শঙ্কা ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে।
প্রচারণার শেষ দিনে কাজলসারে নৌকার প্রার্থীর মাইকিং এর গাড়ি ভাংচুর নিয়ে ভোটার ও সমর্থকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতি অনেকটাই ঘোলাটে করেছে। তবে শেষ সময়ে এসে সকলেই প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও অহিংস নির্বাচন প্রত্যাশা করছেন।
সুলতানপুর ও কাজলসার দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ১৩জন প্রার্থী থাকলেও আভাস মিলেছে ত্রিমুখী লড়াইয়ের।
সুলতানপুর ইউপিতে রয়েছেন মোট পাঁচজন প্রার্থী। তবে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (আনারস), আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ইকবাল আহমদ চৌধুরী একল (নৌকা) ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমদ (চশমা)। বাকি দুই প্রার্থী জালাল উদ্দিন ও জাপার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খাঁন ভোটের মাঠে নেই।
একইভাবে কাজলসার ইউপিতে আটজন চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকলেও মূল আলোচনায় আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল আম্বিয়া (আনারস), আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জুলকার নাইন লস্কর (নৌকা) ও বিএনপি ঘরানো স্বতন্ত্র প্রার্থী চেরাগ আলী (চশমা)।
স্থানীয় ভোটার ও প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুলতানপুর ইউপির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকবাল আহমদ চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা হাসান আহমদকে একলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মাঠে কাজ করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রফিকুল ইসলাম। ভোটের মাঠে তাঁর অবস্থান বেশ শক্তিশালী। তবে ছাড় দিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইকবাল আহমদ চৌধুরী। ভোটের মাঠে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরীতে মরিয়া হয়ে কাজ করেছেন শেষ সময়ে। সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বিএনপি নেতা হাসান আহমদও থাকতে চাচ্ছেন মূল যুদ্ধে। ফলে এই ইউনিয়নে শেষ পর্যন্ত ত্রিমুখী ভোটের লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
কাজলসার ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জুলকার নাইন লস্করকে ধরাশায়ী করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আম্বিয়া ও বিএনপি নেতা চেরাগ আলী। এই তিন প্রার্থীকে ঘিরেই ভোটের আলোচনা। আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল আম্বিয়া ও বিএনপি নেতা চেরাগ আলীর চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকার প্রার্থী জুলকার নাইন লস্কর চেয়ার ধরে রাখতে এলাকা ভিত্তিক ঐক্য গড়ে তুলেছেন। এই ইউনিয়নেও ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বীতার সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ করা হবে জানিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তপন চন্দ্র জানান, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই নির্বাচন শেষ হওয়ার আশা করছি আমরা। নির্বাচনে জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। দুটি ইউপির সবগুলো ভোট কেন্দ্রকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে কাজ করছে প্রশাসন।
এর আগে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক ঘোষিত ফলাফল বাতিল এবং পুনভোট গ্রহণ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করা হলে সুলতানপুর ইউপির ফলাফল বাতিল করে নতুন তফসিল ঘোষণার আদেশ দেন উচ্চ আদালত। একই কারনে স্থগিত হয় কাজলসার ইউনিয়নের নির্বাচনও।