মাত্র চার ইঞ্চি পানি বাড়লেই পুরো সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের শঙ্কা। কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে এই যখন পরিস্থিতি তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সম্মিলিতভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, সিলেট সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ।
শুক্রবার দুপুর থেকে কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের চারপাশে বালির বস্তা দিয়ে দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী। এ ছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের সাকার মেশিন দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঢুকে পড়া পানি শুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে কুমারগাও সাব স্টেশন তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
এটি তলিয়ে গেছে পুরো সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে। এতে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই আমরা এই কেন্দ্রটি চালু রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। যাতে অন্তত নগরের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির শুক্রবার দুপুরে বলেন, বুধবার রাতেই কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ঢুকে পড়েছে। আর চার ইঞ্চি পানি বাড়লেই এই কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হবে।
আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি এই কেন্দ্রটি সচল রাখার। বালির বস্তা দিয়ে কেন্দ্রের চারপাশে বাঁধ দেয়া হচ্ছে। কেন্দ্রে ঢুকে পড়া পানি সেচে সরানোর চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনী ও সিটি করপোরেশন আমাদের একাজে সহযোগিতা করছে।
এদিকে, শুক্রবার দুপুরে কুমারগাঁও সাব স্টেশন পরিদর্শনে যান সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। তিনি বলেন, বন্যায় সিলেটের সবগুলো উপজেলায় পানি প্রবেশ করেছে। অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। সিলেট নগরে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে আমরা সেই চেষ্টা করছি।
আরসি-০১/আরএম-০৫
