নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২০, ২০২২
০১:১৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ২০, ২০২২
০১:১৭ পূর্বাহ্ন
সিলেট নগরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে বন্যার্ত মানুষের চাপ। ফলে বাড়ছে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা। রবিবার বিকেল পর্যন্ত সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিসিক। তবে এ সব আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ ঠাই পেলেও পাচ্ছেন না খাবার। ফলে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তৈরি হয়েছে খাদ্য সঙ্কট।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, প্রথমে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। তবে চাপ বাড়ায় তা বাড়িয়ে করা হয় ৩৬টি। তবে বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ৫২টি। এ সব আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ সব আশ্রয়কেন্দ্রে অনেকেই ৪ থেকে ৫ দিন ধরে আছেন। ফলে প্রথম কয়েকদিন নিজেদের ব্যবস্থাপনায় খাবার খেলেও এখন তাদের হাতের টাকা ফুরিয়ে এসেছে। ফলে তারা বসে আছেন ত্রাণের অপেক্ষায়। তবে এখনো শুকনো খাবার বিতরণ শুরু হয়নি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে। এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে দুই একটি আশ্রয়কেন্দ্রে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষরা জানান, তারা আশ্রয় নিয়ে জীবন রক্ষা করতে পেরেছেন। তবে বর্তমানে তাদের খাবারের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত তারা পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছেন না। দুই একটি সংগঠন মাঝে মধ্যে এসে খিচুড়ি বিতরণ করছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়।
নগরের মিরাবাজারস্থ কিশোরী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের সমলা বেগম বলেন, ‘যতরপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করি। বন্যার কারণে দুই সন্তানসহ পরিবারের ৫ জনকে নিয়ে ৩ দিন হয় এখানে এসেছি। হাতে যা টাকা পয়সা ছিল তা দুই দিনে শেষ হয়ে গেছে। ফলে এখন বাচ্চাদের পেটে খাবার দিতে পারছি না। এছাড়া এখনো কোনো সহায়তাও পাইনি। কেউ শুকনো খাবার নিয়েও আসেনি। সারাদিন পর বিকেলে কিছু মানুষ খিচুড়ি রান্না করে দিসে।’
নগরের মির্জাজাঙ্গাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ৭০ উর্দ্ধ ইসরাফিল মিয়া সিলেট মিররকে বলেন, ‘আমাদের এখন খাবারের প্রয়োজন। কিন্তু খাবার পাচ্ছি না। হঠাৎ কেউ কেউ খিচুড়ি এনে দেয়। তাও আবার সবাই তা পায় না।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আলম সিলেট মিররকে বলেন, ‘নগরে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ৫২টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু আছে। প্রতিটি কেন্দ্রে বন্যার্তদের ভিড়।’
খাবার সঙ্কটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আজ (রবিবার) রাত থেকেই শুকনো খাবার বিতরণ শুরু করব।’
এনএইচ/বিএ-০৭