তৃতীয় দিনে রংধনু গ্রুপ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের খাদ্যসহায়তা

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ২৮, ২০২২
০৯:২৮ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২৮, ২০২২
০৯:৩৩ অপরাহ্ন



তৃতীয় দিনে রংধনু গ্রুপ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের খাদ্যসহায়তা

ভয়াবহ বন্যা কবলিত সিলেটের বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ উপজেলার এক হাজার পরিবার পেল রংধনু গ্রুপ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার খাদ্যসহায়তা। চলমান মানবিক কার্যক্রমের তৃতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার এই খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেন প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি।

সিলেটের দুর্গত তিন হাজার পরিবারের কাছে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে রংধনু গ্রুপ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকা। আজ বুধবার কানাইঘাট উপজেলায় খাদ্যসহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আগে গত রবিবার কোম্পানীগঞ্জ ও সোমবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়।


গতকাল বিয়ানীবাজারের লাউতা ইউনিয়নের নন্দীরফল জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ ও জলঢুপ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, বিয়ানীবাজার পৌরসভার ইউসুফ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ এবং মাথিউরা ইউনিয়নের নালবহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বানভাসি মানুষের মধ্যে খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়।

এ কার্যক্রমে আরও অংশ নেন প্রতিদিনের বাংলাদেশ এর ফিচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আবেদ, বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর, পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ফারুকুল হক, মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমান উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, কাউন্সিলর এসহানুল ইসলাম, নিসর্গী মহসিনুর রহমান, ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান খান, আজম্মিল আলী কালু, পরিবেশ সংগঠন আমরা দুর্বারের সভাপতি আবদুস সালাম সময়, সাংবাদিক আহমেদ ফয়সাল, ‘বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ১৯৮৭ ব্যাচ’-এর আবদুল কুদ্দুস, আব্দুস সবুর, নূরল হক ও সুরমান আলী প্রমুখ।


খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেন, ‘সিলেট অঞ্চল স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ধুকছে। এ অবস্থায় মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে এবং পানিবন্দি মানুষের মধ্যে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিতে রংধনু গ্রুপ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ এর এ উদ্যোগ কিছুটা হলেও দুর্গত মানুষের দুর্দশা লাঘবে সহায়ক হবে। একটি পরিবার যাতে এক সপ্তাহ স্বস্তিতে থাকে সেই চিন্তা থেকে খাদ্যসহায়তা প্যাকেট তৈরি করা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর বন্যার্তদের মধ্যে রংধনু গ্রুপ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের খাদ্যসহায়তা কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি বন্যা দুর্গত এলাকার সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনে ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকায় দুর্গত পরিবারগুলো উপকৃত হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিদিনের বাংলাদেশের খাদ্য সহায়তা পেয়ে বন্যার্ত পরিবার পুরো এক সপ্তাহ স্বস্তিতে থাকবে।’ 

এমন উদ্যোগ নেওয়ায় রংধনু গ্রুপ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের দায়িত্বশীলদের ধন্যবাদ জানান তিনি।


পৌর মেয়র ফারুকুল হক বলেন, ‘গত ১৫ জুন নির্বাচন হয়েছে। ১৭ জুন থেকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বন্যাকবলিত হলে আমরা বন্যার্ত পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রেখেছি। এরমধ্যে সরকারি সহায়তাও এসেছে। তবে সবচেয়ে খুশি হয়েছি আমাদের অগ্রজ, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী প্রতিদিনের বাংলাদেশ এর সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি খাদ্যসহায়তা নিয়ে আসায়। বিয়ানীবাজারবাসীর পক্ষ থেকে এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

বিএ-০১