বানবাসীরা চোখে অন্ধকার দেখলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ০৬, ২০২২
০১:২৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৬, ২০২২
০১:২৯ পূর্বাহ্ন



বানবাসীরা চোখে অন্ধকার দেখলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই
- ফয়সল আহমদ চৌধুরী

সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতিকের সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সিলেট জেলা বিএনপির সদস্য ফয়সল আহমদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। মানুষের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত। এ অবস্থায় তারা দিশেহারা। ঘরবাড়ি সংস্কার ও বাসযোগ্য করতে প্রচুর অর্থ প্রয়োজন।’

আজ মঙ্গলবার ( ৫ জুলাই ) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ও ঢাকদক্ষিণ ইউনিয়নের বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ফয়সল চৌধুরী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সহায়তার অপেক্ষায়। কিন্তু সেদিকে সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। মানুষ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় তারা চোখে অন্ধকার দেখছেন। আর জনগনের ম্যান্ডেটহীন সরকার নানা আনন্দ উৎসবে মগ্ন।’ 

অবিলম্বে বানবাসীদের পূণর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানোর পাশাপাশি তিনি এ ব্যাপারে বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন ও চিত্তশীল বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নোমান উদ্দিন মুরাদ, সহ-সভাপতি রুহেল আহমদ, সদস্য হাসান মাহমুদ বাবু, এহসান আহমদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহজাহান আহমদ, সদস্য জিয়া আহমদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক তানজিম আহাদ, সাধারণ সম্পাদক সাহান আহমদ, আমুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাহিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রাহাত আহমদ প্রমুখ।

সকাল ১১টায় ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ সুনামপুর ও আহমদপুরে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন,  ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এহিয়া আহমদ দুলাল, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুরেল আহমদ প্রমুখ।

বিকেলে আমুড়া ইউনিয়নের শিকপুরে ত্রানসামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন আমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লিলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর কুটি, সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল আমিন মুন্না, সহ-সাধারণ সম্পাদক রুমন আহমদ ও মনসুর আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলনবী চৌধুরী শিপন, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি রুহিন আহমদ রেজনসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার সচেতন মানুষ।

তিনি দুটি ইউনিয়নের ৪০০ বানবাসী পরিবারের হাতে প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন।


এএফ/০৮