আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রী-এমপি বন্যার্তদের পাশে নেই : লুনা

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ০৬, ২০২২
০১:৩৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৬, ২০২২
০১:৩৮ পূর্বাহ্ন



আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রী-এমপি বন্যার্তদের পাশে নেই : লুনা

সিলেটে চলমান এই বন্যায়  আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রী, এমপি জনগনের পাশে নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা বলেছেন, ‘আওয়ামীলীগ গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, উন্নয়ন ও জনগনের অধিকারে বিশ্বাস করে না। তারা কখনও জনগনের ভালো চায়না। কারণ তারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। যে করণে এই ভয়াবহ বন্যায় তারা জনগনের পাশে নেই।’ 

সোমবার বিকেলে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামির এলাকায় উপজেলা কৃষক দলের উদ্যেগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে কৃষি বীজ ও ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলী পত্নী আরও বলেন, ‘এই সরকার  শুরু থেকেই কৃষকদের ধোঁকা দিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা বলেছিল, কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দিবে। কিন্তু নির্বাচনের পর তাদের আসল চরিত্র ফুটে উঠেছে। কৃষকরা বিনামূল্যে তো দুরের কথা চড়া দাম দিয়েও সময় মত বীজ ও সার পাচ্ছেন না।’ সরকার দলের নেতাকর্মীরা সব লুটেপুটে শেষ করে দিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে হবে।’

উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ মিসবাহ এর সভাপতিত্ব ও জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তাজরুল ইসলাম তাজুলের  সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ওমর ফারুক শাফিন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, কৃষিবিদ শফি শাওন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আউয়াল, সহ দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিটু, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট সোলেমান হোসেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘চলমান এই বন্যায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা। উন্নয়নের নামে সরকারের অপরিকল্পিত কর্মকান্ডের কারনে এই ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। কোটি কেটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। তারপরও সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে কোন কার্যকর প্রদক্ষেপ নিচ্ছেনা। কারণ তারা এদেশের কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষদের কথা না ভেবে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। তাই দেশের সকল কৃষককে সরকারের এই অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের কৃষি বিপ্লবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে খাল কাটা ও নদী খনন কর্মসূচী শুরু করেছিলেন তা যদি অবয়াহত থাকত তাহলে কৃষকদেরকে আজ এই পরিস্থিতি মুখোমুখি হতে হত না।’ 

বিএনপি সব সময় কৃষক ও কৃষি বান্ধব মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানও কৃষকদের নিয়ে খুবই ভাবতেন, ভালো বাসতেন। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এসব কর্মসূচি জোরালো করেছিল। কিন্ত ২০০৮ সালের ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে সব কর্মসূচী বন্ধ করে দেয়। বিএনপি অতিতেও কৃষকদের সাথে ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।’

এ সময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দিন, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম রব্বানী, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, যুগ্ন আহবায়ক জহুরুল ইসলাম মাখন, ওসমানীনগর উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিসবাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমদ, জেলা যুবদল নেতা আবুল কাশেম প্রমুখ।


এএফ/১০