নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২৯, ২০২২
০৯:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ৩০, ২০২২
০১:২৮ পূর্বাহ্ন
কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের উঁকিতে ঝলমল করে ওঠা চারপাশ। কিংবা কোমল সূর্যরশ্মিতে ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দুর লুকোচুরি। প্রকৃতির এমন বিচিত্র রুপ শীত ঋতুর আমেজ তৈরী করেছে সিলেটজুড়ে। অথচ ক্যালেন্ডারের পাতায় এখনও হেমন্ত। ঋতুর হিসাবে শীতকাল আসতে দুই মাস বাকি।
হেমন্তের শুরুতে কুয়াশায় আচ্ছন্ন সকাল গ্রাম–শহরের জনপদে। সেই সঙ্গে মৃদু ঠান্ডা বাতাস।
গেল কয়েকদিন ধরেই খানিকটা শীতল আবহাওয়া সিলেটে। দিনের বেলা গরম থাকলেও বিকেল থেকে শীতের অনুভূতি। আর রাত পেরিয়ে সকালের ঘন কুয়াশা যেন শীতের আগমনী বার্তা-ই জানান দিচ্ছে।
সকালে প্রাতভ্রমণে বের হওয়া ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যে বৃষ্টি হয়েছিল এরপর থেকেই ঠান্ডা পড়েছে। সকালে প্রচন্ড কুয়াশা থাকে। রাতে ফ্যান বন্ধ করে ঘুমাতে হয়।’
বালুচর এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষার্থী সৌরভ আহমদ বলেন, ‘সকালে কিংবা রাতে বাইরে গেলে গরম কাপড়চোপড় পরে বের হতে হয়। দিন দিন শীতের মাত্রা বাড়তেই আছে।’
ভোরে দৃষ্টিসীমা ঝাপসা করা ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় যানবাহন চলাচলেও দেখা গেছে ধীরগতি। এদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত তিন-চার দিন ধরে এখানে তাপমাত্রা কমছে। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে আবারও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধানও কমে আসবে, বাড়তে থাকবে শীত।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী ২০ নভেম্বর থেকে সিলেটে পুরোদমে শীত অনুভূত হতে পারে।
আরএম-১৪