সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ০৯, ২০২৫
০৬:১০ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ০৯, ২০২৫
০৬:১০ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি বিবেচনা করছে সরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে।
এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইতোমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে দলটির নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে বলে জানিয়েছে সরকার। সরকারের সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, ইতোমধ্যে সরকার জনদাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে।
এ ছাড়া সরকারের পক্ষে থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশ ত্যাগের বিষয়ে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভ বিষয়ে সরকার অবগত। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর রয়েছে।
গতকাল ৮ মে রাত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও এনসিপির নেতাকর্মীদের যমুনার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। তারা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এদিকে আজ শুক্রবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পাশে মিন্টো রোডের ফোয়ারার সামনে তৈরি মঞ্চে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
এএফ/০৩