দেশের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক আয়োজন ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব’এ মঞ্চ মাতালো সিলেটের “মৃত্তিকায় মহাকাল”

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ৩১, ২০২২
০৩:৩২ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ৩১, ২০২২
০৩:৩২ অপরাহ্ন



দেশের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক আয়োজন ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব’এ মঞ্চ মাতালো সিলেটের “মৃত্তিকায় মহাকাল”

বাংলাদেশের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক আয়োজন ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব’ এর নবম দিনে মঞ্চ মাতালো সিলেটের নন্দিত আবৃত্তি সংগঠন “মৃত্তিকায় মহাকাল”। 


গত ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ও ভারতের ১২২টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের চার হাজারের  শিল্পীর অংশগ্রহণে শুরু হওয়া বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ সাংস্কৃতিক উৎসবে ২৯ অক্টোবর অংশগ্রহন করলো মৃত্তিকায় মহাকাল।


বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তনে সন্ধ্যে ৭টায় বিপুল দর্শকের উপস্থিতিতে মঞ্চস্থ হয় মৃত্তিকায় মহাকাল এর আবৃত্তি প্রযোজনা "ফিরে এসো প্রমিথিউস"।


প্রযোজনা শেষে মৃত্তিকায় মহাকাল এর শিল্পীদের হাতে স্মারক তুলে দেন প্রখ্যাত আবৃত্তিজন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সমন্বয়ক ড. নিমাই মণ্ডল। 



প্রযোজনাটি গ্রন্থনা, সংকলন ও নির্দেশনা দিয়েছেন সৈয়দ সাইমূম আনজুম ইভান। কোরিওগ্রাফী নির্দেশনা দিয়েছেন জ্যোতি সোম নুপুর, সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন বীথি সাইমূম। সার্বিক সমন্ব্যয় করেন রুবেল আহমেদ। 

মঞ্চে আবৃত্তি ও কোরিওগ্রাফীতে অংশগ্রহন করেন সৈয়দ সাইমূম আনজুম ইভান, গাজী সাইফুল হাসান, রাজকুমার দে জয়রাজ, সামিয়া শিকদার, মন্টি সরকার, জ্যোতি সোম নুপুর, সামিনা আক্তার স্বর্না, অপরাজিতা সেন গুপ্তা ঐশী, দিপংকর চন্দ্র শচীন, পূর্বা বৈদ্য, ও অনন্যা বিশ্বাস রিমু। 


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার আয়ুষ্কালের ৫৫ বছরের প্রতিটি মুহূর্তে ব্যয় করেছেন বাঙ্গালি জাতির মুক্তি সংগ্রামে। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি জাতিসত্তা, স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ—পুরোটাই বঙ্গবন্ধুময়। 


প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক ঐক্য, ভাষা নিয়ে সহাবস্থানে এক আধুনিক নাগরিকের দেশ বাংলাদেশ, যার আরেকটি পরিচয় সোনার বাংলা। এই সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

তাঁর স্বপ্নের পথ ধরেই বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা, উন্নয়নের বিস্ময়, যা বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে মহিমান্বিত করছে। 

এই অবিস্বরনীয় যাত্রাকে বিখ্যাত কবিদের কবিতার কোলাজ নির্মাণ আবৃত্তি প্রযোজনা “ফিরে এসো প্রমিথিউস”।


উল্লেখ্য শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরিক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল ও সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তন এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে ভারতের চারটি দল, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৪০টি নাট্যদলসহ মোট ৪৪টি মঞ্চনাটক প্রদর্শনীর পাশাপাশি ১৮টি সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্যদলের পরিবেশনা থাকছে উৎসবে।  


এসই/০৮