নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ০২, ২০২৩
০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ০২, ২০২৩
০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত এক প্রার্থী জেলার ৬৬ জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁর নাম এম মুজিবুর রহমান মুজিব (৫০)। তিনি পেশায় আইনজীবী এবং সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য।
আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শাকিলা ফারজানা চৌধুরীর আদালতে তিনি মামলাটি করেন।
মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী। তিনি বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত ৬৬ জন জনপ্রতিনিধির প্রত্যেকে তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেন। বিবাদীরা বিভিন্ন মিথ্যা অজুহাত উপস্থাপন করে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রতিতে টাকা ধার নেন। অভিযুক্ত ৬৬ জন জনপ্রতিনিধি প্রত্যেককে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে মোট ১৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ধার দেওয়া হয়েছে। যা গত ১৭ অক্টোবর টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। গত ৪ ডিসেম্বর মামলার ১নং স্বাক্ষীর গোলাপগঞ্জের কার্যালয়ের সামনে বাদী মুজিবুর রহমান অনুরোধ করলেও বিবাদীরা টাকা দিতে অস্বীকার করেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে তাঁকে ভোট দেওয়ার শর্তে নিজ নির্বাচনী এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের ৬৬ জন সদস্যকে টাকা দেন মজিবুর রহমান। কিন্তু নির্বাচনে তিনি ৩১টি ভোট পান। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। তবে মামলায় ভোট দেওয়ার শর্তে টাকা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এম মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের আমি ফেরত দেওয়ার শর্তে টাকা ধার দিয়েছিলাম। তখন ভোটের সময় ছিল, সেনসেটিভ সময় হওয়ায় আর টাকা ফেরত চাইনি। এখন টাকা চাইলেও তাঁরা ফেরত দিচ্ছেন না। তাই মামলা করেছি। ভোট দেওয়ার শর্তে টাকা দিয়েছি—এ তথ্য সঠিক নয়।’
এএফ/০৩