জৈন্তাপুরে টিলা কেটে পাথর উত্তোলনে হুমকির মুখে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
১১:০৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
১১:০৭ অপরাহ্ন



জৈন্তাপুরে টিলা কেটে পাথর উত্তোলনে হুমকির মুখে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর


সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউপি’র গোয়াবাড়ী, কমলাবাড়ী এলাকা পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হলেও থেমে নেই পাথর উত্তোলন। পাথর খেকুচক্র সদস্যরা দিন রাত সমান ভাবে পাথর উত্তোলন করছে। পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনলেও তাদেরকে কোন ভাবে থামানো যাচ্ছে না। হুমকীর মুখে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিব বর্ষের গৃহহীনদের উপহারের ঘর, পরিবেশ অধিদপ্তর নিরব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাথর খেকু চক্রের সদস্যরা গোয়াবাড়ী এলাকার পাহাড় টিলা কর্তন করে দেদারছে পাথর উত্তোলন করছে। তাদের পাথর উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট হচ্ছে বড় বড় গর্তের। জৈন্তাপুর উপজেলা বাংলাদেশের মধ্য একমাত্র সর্বোচ্ছ বৃষ্টিপাত অঞ্চল এবং ভূকম্পের ডেঞ্জার জোন এলাকা হিসাবে চিহ্নিত। বর্ষায় অতি বৃষ্টি ফলে পাহাড় ও টিলা ধসে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায়। অপরদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য এই এলাকায় প্রায় ৩শতটি ঘর তৈরী করে উপহারদেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাথর উত্তোলনের ফলে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বেশির ভাগ ঘর বর্ষায় ধষে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

পাথর খেকু চক্রের সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তা সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে রাতের আঁধারে ট্রাক যোগে এসব পাথর নিয়ে যায় বিভিন্ন ক্রাশিং মিলে। রাতের পর রাত গোয়াবাড়ী এলাকায় চলে পাহাড় টিলা খুড়া-খুড়ি করে চলে পাথর উত্তোলন। চক্র রাত ভর ট্রাক যোগে উত্তোলিত পাথর পরিবহন করছে বিভিন্ন ক্রাশিন মেশিনে।

এলাকাবাসী নাছির উদ্দিন, হরমুজ আলী, বরকত উল্লাহ, আব্দুল হালিম সহ শতাধিক ব্যক্তি প্রতিবেদককে জানান, ইতোপূর্বে গোয়াবাড়ী এলাকা হতে পাথর উত্তোলনের উপর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সাইর্বোড পুতে স্থায়ী নিষেদাজ্ঞা জারী করে। নিষেদাজ্ঞার সাইনবোর্ড রাতের আড়ালে পাথর খেকুরা তুলে নিয়ে যায়। গোয়াবাড়ী এলাকায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন, বর্তমানেও অভিযান চলমান রয়েছে। তারপরও পাথর খেকুরা হরদম পাথর উত্তোলন করছে এলাকা হতে। মুলত পাথর খেকুদের বিরুদ্ধে কঠিন দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি না হওয়ায় চক্রটি কতিপয় ব্যক্তিদের সহায়তায় পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে উপজেলা প্রশাসন শেষ রাত পর্যন্ত নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। তারপরও একটি চক্র তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরকে কার্যক্রর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

এবিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যোট শেষ রাত পর্যন্ত উপজেলা জুড়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরকে পত্র মারফত অবহিত করেছি। 


আরকেএস-০১/এএফ-০৮