নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ০৭, ২০২৩
১২:৩২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ০৭, ২০২৩
০৯:১৪ অপরাহ্ন
কুইন্স হসপিটালের সঙ্গে সম্পৃক্ত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে হাসপাতালের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী চৌধুরী বলেছেন, ‘কুইন্স হসপিটাল ভবিষ্যতে যাতে বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে পারে এবং একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেজন্য যা যা করণীয় তার সব করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘কুইন্সের চিকিৎসা সেবার সঙ্গে যারা জড়িত তারা আন্তরিক হলে সিলেটের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে আস্থার ঠিকানা হতে পারবে কুইন্স হসপিটাল।’
গতকাল মঙ্গলবার নগরের বিমানবন্দর এলাকার পাঁচ তারকা হোটেল ‘গ্র্যান্ড সিলেট’-এর সম্মেলন কক্ষে চিকিৎসদের এক সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। কুইন্স হসপিটালের সঙ্গে সম্পৃক্ত চিকিৎসকদের কাছে হাসপাতাল নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও রূপরেখা তুলে ধরতে এই সম্মিলনের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন খ্যাতিমান গাইনি বিশেষজ্ঞ ও কুইন্স হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল এক্সিকিউটিভ কমিটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহানা ফেরদৌস চৌধুরী এবং হাসপাতালের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ মেডিসিন চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ এফ এম নাজমুল ইসলাম।
এছাড়াও পরিচালকদের মধ্যে বারাকা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ চৌধুরী এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম কে শাফি চৌধুরী এলিম বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে হাসপাতালের চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী চৌধুরী বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতায় কুইন্স হাসপাতালকে বেসরকারিখাতে সিলেটের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে চাই। রোগীদের সবচেয়ে আস্থার জায়গায় স্থান করে নিতে চাই। এজন্য হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ, এনআইসিইউ’র জন্য অত্যাধুনিক ল্যাব যন্ত্রপাতি আনা হচ্ছে। ইনভেস্টিগেশন ল্যাব, ল্যাবরেটরির জন্য আমরা বিশ্বের সেরা মেশিনারিজ আমরা নিয়ে আসছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব রোগী আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসবেন তারা যে সুন্দর পরিবেশে শতভাগ চিকিৎসা সেবা পান এবং সুস্থ হওয়ার পর সেবার চমৎকার অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে পারেন সেই সেবার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে চাই।’
নগরের সীমানা ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্জলেও কুইন্স হসপিটালের সেবা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম যাতে গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেজন্য গ্রামগঞ্জে বিশেষ বুথ স্থাপনের মাধ্যমে বৃহত্তর সিলেটে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’
প্রবাসীদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালুর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ কুইন্স হসপিটালে যেহেতু প্রবাসীরাও বিনিয়োগ করেছেন সেহেতু প্রবাসীদের বয়োজেষ্ঠ্য স্বজন যারা দেশে বসবাস করেন, তাদের সেবার জন্য আলাদা বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।’
কুইন্স হসপিটাল নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও স্বপ্নের কথা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান উপস্থিতদের মাঝে তুলে ধরলে চিকিৎসকবৃন্দসহ কুইন্সে কর্মরতরা উদ্যোক্তাদের চিন্তা-চেতনা, পরিকল্পনার প্রশংসা করেন। বড় স্বপ্ন নিয়ে যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে তাতে একদিন এই হাসপাতাল সবচেয়ে বড় হাসপাতালে রূপান্তরিত হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে শুরুতে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হসপিটালের ব্যবস্থাপক (অপারেশন অ্যান্ড মার্কেটিং) মহিউদ্দিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে পরিচিতি পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন কুইন্স হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহিম আহমদ চৌধুরী।
কুইন্স হসপিটাল এর প্রকল্প পরিচালক ডা. মামুন ইবনে মুনিম সঞ্চালনায় মতবিনিময়ে অংশ নেন কুইন্স হসপিটালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রবিউল হাসান, ডা. ইফফানা আজম ডরিন, ডা. সুস্মিতা রায়, ডা. শান্তনু দাস, ডা. ফারহানা জয়া চৌধুরী, ডা. দেবাশীষ বসু, ডা. জীবন কুমার পাল, ডা. মুনতাহা চৌধুরী, ডা. সাফিয়া রহমান, ডা. মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম রানা, ডা. অনুপম দাস, ডা. আবিদা বেগম ফজলুর, ডা. ফাহিমা রহমান।