বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চা উৎপাদন ব্যাহত

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ০৯, ২০২৩
০৪:০৭ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০৯, ২০২৩
০৪:০৭ অপরাহ্ন



বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চা উৎপাদন ব্যাহত


মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কয়েকদিন ধরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বিভিন্ন বাগানে চা উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যাহত হচ্ছে। ব্যাপক লোডশেডিংয়ের কারণে চা বাগান ছাড়াও অন্যান্য কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। 

জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২২টি চা বাগান রয়েছে। ভর মৌসুমে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এমনিতেই চা গাছে নতুন পাতা কম হচ্ছে। তারমধ্যে কয়েকদিন ধরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চায়ের উৎপাদন আরও কমে গেছে। 

উপজেলার বিভিন্ন চা বাগান কারখানায় গিয়ে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে প্রতি ১৬ ঘণ্টায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা এবং ২৪ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। বিকেলে ও রাতে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকায় চাহিদামতো চা উৎপাদন হচ্ছে না। বর্তমানে কারখানায় উৎপাদন ক্ষমতার ৬০ শতাংশ চা উৎপাদন হচ্ছে। বৃষ্টি কম হওয়া ও লোডশেডিংয়ের কারণে বাকি ৪০ শতাংশ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। 

শমশেরনগর চা বাগানের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে এমনিতেই চা পাতা উৎপাদন কম হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকদিনের লোডশেডিংয়ে চা উৎপাদন আরও কমে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে বর্তমানে ১০০ ভাগের জায়গায় ৬০ শতাংশ চা উৎপাদন হচ্ছে। এ কারণে করখানাগুলোকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। 

উপজেলার শমশেরনগর, শহীদনগর, মুন্সীবাজার ঘুরে দেখা যায়, লোডশেডিংয়ের কারণে রাইস মিলসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চালাতে পারছে না। তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে শ্রমিকরা বসে বসে দিন কাটাচ্ছেন। 

উপজেলার ইলেকট্রিক ওয়েল্ডিংয়ের কারখানার মালিক সেলিম মিয়া বলেন, দুপুর ১২টা থেকে শুরু করে রাত ৩টা পর্যন্ত প্রতি এক ঘণ্টা পর এক ঘণ্টা লোডশেডিং করা হয়। এমনিতেই তাপদাহ চলছে। এর মাঝে বিদ্যুৎ থাকে না। দিন শেষে ৫/৬ জন কর্মচারীর বেতন দিতে হয়। অথচ বিদ্যুৎ না থাকায় কাজ কিছুই হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মীর গোলাম ফারুক বলেন, অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চলের মানুষেরা অনেক বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বৃষ্টি হলে বা তাপমাত্রা কমে এলে এই সমস্যা দূর হবে।


এসই/১৩