জামায়াতের কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ২৭, ২০২৩
০২:৪৭ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২৭, ২০২৩
০২:৪৭ অপরাহ্ন



জামায়াতের কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন


রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা থেকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

পাশাপাশি জামায়াতের আমির, সেক্রেটারি জেনারেল, নায়েবে আমির, ঢাকা মহানগরের দক্ষিণের আমির ও দক্ষিণের নায়েবে আমিরসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন করা হয়েছে।  

আবেদন দুটি সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। চেম্বার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ৩১ জুলাই শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন।

তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন (রিটকারী) আবেদন দুটি করেন।  

রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরীকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

‘এক দশক পর সমাবেশের অনুমতি পেল জামায়াত’ ও ‘নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জামায়াতে ইসলামীর, এক দশক পর ঢাকায় সমাবেশ’—এমন শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ১০ জুন প্রতিবেদন ছাপা হয়। এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে মিছিল, সভা ও সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে জামায়াতকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ অন্যরা (রিটকারী)। আর জামায়াতের আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদনটি করেন সৈয়দ রেজাউলসহ তিনজন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর। তিনি বলেন, চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ৩১ জুলাই শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন।  

আবেদনে বলা হয়, হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন। এই রায় আপিল বিভাগে স্থগিত হয়নি। জামায়াত রাজনৈতিক দল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না ও নির্বাচনের অযোগ্য। অযোগ্য ও নিষিদ্ধ সংগঠন কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে না। দলটির বৈধতা না থাকায় রাজনৈতিক দাবি হিসেবে ভোট চাইতে পারে না। রাস্তার আন্দোলনে এ ধরনের রাজনৈতিক দাবি আইন ও সংবিধানে অনুমোদিত নয়। জামায়াতে ইসলামীর নামে বা ব্যানারে যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনুমতি আদালত অবমাননার শামিল।

আপিলকারী (জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল) নিজে বা অন্য কোনো ব্যক্তি বা এজেন্টের মাধ্যমে বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে জানান দেয়—এমন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড (জামায়াতের লেটারহেড, নাম, ব্যানার ও প্রতীক ব্যবহার) পরিচালনা ও রাজনৈতিক সভা–সমাবেশ–র‍্যালি–মিছিল করা থেকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।


এসই/০৩