সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ০৮, ২০২৩
০৫:২২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০৮, ২০২৩
০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের অবসর মুহূর্তে এ. এস. সিরাজুল হক চৌধুরীকে সম্মাননা স্মরাক প্রদান করা হয়।
সুদীর্ঘ তিন যুগের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন এ. এস. সিরাজুল হক চৌধুরী। ৩৬ বছরের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে প্রবেশনারী সিনিয়র অফিসার হিসাবে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড সিলেট দরগাট গেট শাখায়। আর সোমবার (৭ আগস্ট) অবসর নিলেন একই ব্যাংকের ঢাকা উত্তর অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ও অঞ্চল প্রধান হিসাবে। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন শাখা প্রধান, কর্পোরেট শাখা প্রধান, পূবালী এক্সচেঞ্জ ইউকে’র সিইও, প্রধান কার্যালয়ের সাধারণ সেবা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান, বিভিন্ন অঞ্চলের অঞ্চল প্রধান এবং প্রিন্সিপাল অফিস সিলেটের মহাব্যবস্থাপক হিসাবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
অবসরগ্রহণকালে গতকাল সোমবার তাঁর শেষ কর্মস্থলে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা উত্তর অঞ্চল কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় বিদায় অনুষ্ঠানের। ঢাকা উত্তরের মহাব্যবস্থাপক ও অঞ্চল প্রধান এ. এস. সিরাজুল হক চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে উপস্থিত ছিলেন গুলশান কর্পোরেট শাখার মহাব্যবস্থাপক শাহিন শাহরিয়া, ঢাকা উত্তর অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক এ.কে.এম আবদুর রকিব, মহাখালী কর্পোরেট শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসান ইমাম এবং বিভিন্ন শাখার নির্বাহী ও শাখা প্রধানরা।
১৯৬১ সালের ৮ আগস্ট পূণ্যভুমি সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন এ. এস. সিরাজুল হক চৌধুরী। প্রকৌশলী পিতার সন্তান হিসাবে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে সিলেট শহরেই কাটে শৈশবের দুরন্ত দিন আর কৈশোরের স্বপ্নীল সময়। চাইলেই দেশের সীমানা পেরিয়ে সুখের ঠিকানা সন্ধান করতে পারতেন প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্যের কোন ঝলমলে পরিবেশে। কিন্তু নিজেকে নিবৃত করে শেকড়ের কাছেই খুঁজেছেন কর্মের পথ। দেশবাসীর সেবায় কাটিয়ে দিলেন কর্মময় জীবন। ব্যাংকিং সেবায় ৩৬ বছরের এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের মাঝখানে ২০০৩-০৬ এই তিন বছর কাজ করেন ইস্টার্ন ব্যাংকে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, ‘ব্যাংকের অবসর প্রাপ্ত শীর্ষ কর্মকর্তারা বরাবরই সিরাজুল ইসলামের সৃজনশীলতার উচ্চ স্তুতি গেয়েছেন। তাঁর সৃজনশীলতার একটি বিশেষ সংযোজন ‘সিনিয়র সিটিজেন লাউঞ্জ।’ যা আমাদের প্রতিষ্ঠানে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। নতুনের স্বপ্ন পূজারী এ কর্মবীর সব সময় ব্যতিক্রম কিছু উপহার দিয়েছেন আমাদের’। তারা অবসরকালে এ. এস. সিরাজুল হক চৌধুরীর সুদীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা করেন।
এএন/০১