খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে : ফখরুল

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ১৯, ২০২৩
০৬:৩৯ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৯, ২০২৩
০৬:৩৯ অপরাহ্ন



খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে : ফখরুল


খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এই উপমহাদেশের শুধু নয়, এশিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন নেত্রী। খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছিল ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে। এখনও তিনি বন্দি অবস্থায় আছেন। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তার কিছু হলে সরকারকে সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’

আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে পদযাত্রার আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে এসেই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। তিনি সারা দেশে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা তথা চারণ কবির মতো দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের পক্ষে জাগ্রত করে চলছেন। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। যেই দুই কোটি টাকার অভিযোগে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে সেই টাকা এখন আট কোটি টাকা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একই ধরণের মামলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে হয়েছিল। কিন্তু তাদের শুধু মুক্তি দেওয়া হয়নি মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন তাদের অনেকেই মন্ত্রী।’

খালেদা জিয়ার অনতিবিলম্বে মুক্তি দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেত্রী আজ গুরুতর অসুস্থ। যদি বন্দি অবস্থায় আমাদের নেত্রীর কিছু ঘটে তার সব দায় সরকারকে নিতে হবে। ডাক্তাররা বারবার বলে আসছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। কিন্তু সরকার কর্ণপাত করছে না ‘

তিনি বলেন, ‘এই সরকার অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ১৫ বছর ধরে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে। এরা এখন গণতন্ত্রের জন্য নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। দেখেন আমাদের ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক জিসানসহ ছয়জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছয় ঘণ্টার মধ্যে তাদের মুক্তি না হলে দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে শুধু তারাই নয়, আমাদের নেতাকর্মীদের কেউ ঘরে থাকতে পারেন না। তাদের পুলিশ হয়রানি করছে। এরা বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সবই ধ্বংস করেছে। আমরা এ সরকারের পদত্যাগ চাই। ইনশাআল্লাহ আগামীতে একটি ভালো নির্বাচন হবে। যেখানে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারবে। এখনো সময় আছে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করবেন না, বাসা-বাড়িতে হানা দেবেন না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। অবিলম্বে এক দফা দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন।’

এদিন বিকেল ৩টায় পদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার আগে থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সেখানে আসেন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে কাকরাইল মোড় ও শান্তিনগর মোড় হয়ে মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। 


এএফ/০২