যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সংলাপ বুধবার

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ২২, ২০২৩
১১:৫২ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২২, ২০২৩
১১:৫২ অপরাহ্ন



যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সংলাপ বুধবার


যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে বুধবার (২৩ আগস্ট) বসছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে নানা স্তরের আলোচনার অংশ হিসেবে ঢাকায় এই প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৈঠকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ কীভাবে অবদান রাখবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি অস্ত্রবিষয়ক গোপন তথ্য বিনিময় ও সুরক্ষার চুক্তি জিসোমিয়ার (জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) এবং অস্ত্র কেনাকাটাবিষয়ক চুক্তি আকসা (অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট) নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দশম প্রতিরক্ষা সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) অপারেশন ও পরিকল্পনা অণু বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুসাইন মুহাম্মাদ মাসীহুর রহমান। আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির ভারত-মহাসাগরীয় কমান্ডের কৌশলগত পরিকল্পনা ও নীতিবিষয়ক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টমাস জে জেমস। 

২০১২ সালে যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গত বছরের ১৭-১৮ মে হাওয়াইয়ের হনুলুলুতে নবম প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের সংলাপে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা ও প্রতিষ্ঠা, প্রশিক্ষণ, দুই দেশের সামরিক কর্মকর্তাদের সফর বিনিময়, জঙ্গি দমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। 

চীনের প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে অবাধ, মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম অগ্রাধিকার। তারা যেকোনো মূল্যে এ অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি ও প্রভাব নিশ্চিত করতে চায়। আর এ উপস্থিতি নিশ্চিতে আইপিএসে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার তাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।

সূত্র বলছে, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি অবাধ, মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কীভাবে বাংলাদেশ অবদান রাখতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানও বৈঠকে আলোচনায় থাকবে। আইপিএস নিয়ে আলোচনায় ওয়াশিংটন থেকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়টিতে জোর দেওয়া হবে। কারণ এটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অগ্রাধিকার।


এএফ/১৩