সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
-ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের চাবিকাঠি। সবার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর এ প্রচেষ্টাকে সহায়তার জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইডলাইনে ‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ অব কমিউনিটি ক্লিনিক : ইনোভেটিভ এপ্রোচ এচিভিং ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজ ইনক্লুসিভ অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডিজ-অ্যাবিলিটি’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমাদের সম্মিলিত কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য এ বছর শপথ নেওয়ার সময় আমরা আপনাদের উপস্থিতিতে উৎসাহিত বোধ করছি।
তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল সাউথের উদীয়মান কণ্ঠস্বর হিসেবে বাংলাদেশ এ বিষয়ে তার উপলব্ধি এবং দক্ষতা আগ্রহীদের সঙ্গে বিনিময় করতে প্রস্তুত আছে। সব সুখের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্য। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চারদিকে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি, এই সাইড ইভেন্ট স্বাস্থ্য এবং আমাদের সব জনগণ ও কমিউনিটির কল্যাণে আমাদের অভিন্ন অঙ্গীকারের আরেকটি নিদর্শন হয়ে থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন যে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পুনরায় চালু করা এবং এগুলোর টেকসইয়ত্ব শুধু এগুলোর মালিক ও রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী স্থানীয় জনগণের ওপর নির্ভর করে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কেন ৯০ শতাংশ সেবাপ্রার্থী কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতি তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে, তা এই চিত্রটিই বলে দেয়।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে তাঁদের পার্লামেন্ট কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্ট অ্যাক্ট পাস করেছে, যাতে এর কার্যক্রম ও ফান্ডিং পদ্ধতি আরো সহজতর করা যায়।
স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা বলেন।
এক. প্রথমত, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপুল অর্থ অপচয় রোধ করতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করা।
দুই. কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে বিশেষত এনসিডিগুলোর জন্য উন্নত ডিজিটাল স্বাস্থ্য ও ডায়াগনস্টিক পরিষেবা প্রদান করতে সক্ষম করে তোলা।
তিন. ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মতো ক্রমবর্ধমান জলবায়ুজনিত স্বাস্থ্যসংকট মোকাবেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সক্ষমতা আরো উন্নত করা।
চার. মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়ুবিক ব্যাধির জন্য স্ক্রিনিং ও চিকিত্সাসেবা উন্নত করা, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে সেবা প্রদান করা যায়।
পাঁচ. একটি শক্তিশালী ডেটাচালিত স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিক বিল্ডিং ব্লক হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ব্যবহার করা।
এ সময় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সিনিয়র পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
এএফ/০২