সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ০৫, ২০২৩
০১:৩৭ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০৫, ২০২৩
০১:৫৭ অপরাহ্ন
আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও শাহজাহান ওমর। -ফাইল ছবি
বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমরকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ রবিবার (৫ নভেম্বর) ভোরে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে আলতাফ হোসেনকে আটক করে র্যাব। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানী থেকে শাহজাহান ওমরকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, নাশকতা ও সহিংসতা মামলার এজাহার নামীয় আসামি হিসেবে রাজধানীর টঙ্গী এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আলতাফ হোসেনকে আটক করে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) রাজধানীর একটি এলাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার করে।
তারও আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাড্ডায় বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে।
বিএনপির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে আটকের এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আজ রবিবার বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর পক্ষ থেকে শাহজাহান ওমরকে আটকের কথা জানানো হয়নি।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আজ ভোরে রাজধানীর উত্তরা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং গতকাল ঢাকা থেকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) ইমরান সালেহ প্রিন্সকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করে।
তাঁদের আটক করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রুহুল কবির রিজভী।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের দিন বেশ কয়েকটি এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ওই দিন ফকিরাপুল এলাকায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন।
সমাবেশের দিনে ভাঙচুর ও সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনায় এরই মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ বেশ কয়েকজন নেতাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এএফ/০৯
