পুড়ে যাওয়া বগি আর অক্ষত রঙিন স্কুলব্যাগ

সিলেট মিরর ডেস্ক


ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
০৩:১৫ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
০৮:৪৬ অপরাহ্ন



পুড়ে যাওয়া বগি আর অক্ষত রঙিন স্কুলব্যাগ


কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই ঘটনাস্থলের আশপাশে উৎসুক জনতার যে ভিড় তা এখানে নেই। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের এই ডকইয়ার্ডটিতে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। তেজগাঁওয়ে আগুনে পোড়া যে ট্রেনটি এখানে আনা হয়েছে সেটি দেখতে কেবল ভিড় করেছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নেত্রকোণা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটিতে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয় আজ মঙ্গলবার ভোরে।

এতে চারজন নিহত হয়েছেন। আগুনে ট্রেনের তিনটি বগি পুড়ে গেছে। 

বেলা ১১টার দিকে পোড়া বগি থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে আসেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা। এ সময় তাদের সঙ্গে সাংবাদিকরাও ডকইয়ার্ডে প্রবেশ করার সুযোগ পান।

ভেতরে দেখা যায়, পোড়া বগিগুলোর সবুজ রং কালচে হয়ে গেছে। বগির ভেতরের চিত্র যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো এলাকার মতো। সরঞ্জাম রাখার রেলিং খুলে পড়েছে আসনের ওপর। মেঝেতে পড়ে আছে যাত্রীদের সঙ্গে আনা চাল ও ডাল।

একটি বগিতে আগুনে পুড়ে সেদ্ধ হওয়া লাউ দেখা গেল। বগিটির দরজার কাছে পড়ে আছে একটি স্কুল ব্যাগ ও কয়েকটি বই খাতা।

পুড়ে কালচে হওয়া ‘ঝ’ নম্বর বগির মাঝে স্কুল ব্যাগটিই কেবল রঙিন। এর বাইরের অংশে কার্টুন চরিত্রের ছবি। পাশে পড়ে থাকা ‘একের ভেতর সব’ লেখা বইটি দেখে বোঝার বাকি থাকে না ব্যাগটি কোনো শিশুর হাতে ছিল।

নিশ্চয় আগুন লাগার সময় হুড়োহুড়ির মধ্যে ব্যাগের মালিক মায়ের হাত ধরে দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে পড়েছে। কিংবা আকড়ে ধরার চেষ্টা করেও ব্যাগটি হয়তো তার হাতছাড়া হয়ে গেছে। 

আগুনের ঘটনায় ট্রেনটির একটি বগি থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে এক শিশুও আছে। তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তাঁর ছেলে ইয়াসিন (৩)। বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার বরুনা গ্রামে।


কালের কণ্ঠ/এএফ-০২