মেট্রোরেল স্টেশনে নামাজের ব্যবস্থা চেয়ে তোপের মুখে যাত্রী

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৪
১০:২০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৪
১০:২০ পূর্বাহ্ন



মেট্রোরেল স্টেশনে নামাজের ব্যবস্থা চেয়ে তোপের মুখে যাত্রী

মেট্রোরেল স্টেশনে নামাজ আদায় ব্যবস্থা চাই— দাবি করে তোপের মুখে পড়েছেন এক মেট্রো যাত্রী। বেশিরভাগ লোকজনই তার দাবিটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, প্রতিটি স্টেশনের পাশেই মসজিদ আছে। যেখানে যেতে কে মানা করেছে? আবার কেউ কেউ মজা করে বলছেন, ফজরের সালাত জামায়াতে আদায় করেছিলেন? স্টেশনে ওয়াজ মাহফিলের ব্যবস্থা করা হবে না?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেট্রোরেলের একটি কমিউনিটি গ্রুপে আকিব আরাবি নামের এক যাত্রীকে মেট্রোরেল স্টেশনে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা চেয়ে একটি পোস্ট করতে দেখা যায়। সেখানে বিপক্ষে বলতে দেখা গেছে বেশিরভাগ লোকজনকে।

সেখানে ফয়সাল খান জিসন লিখেছেন, 'ঈমান মজবুত থাকলে আল্লাহর এই দুনিয়ায় নামাজের জায়গার অভাব হয় নাই। এই গুলো লোক দেখানো মাত্র। যে ঈমান্দার সে নিজেই বের করে নেবে নামাজের জায়গা।'

একুশ তাপাদার লিখেছেন, 'প্রতিটা স্টেশনের আশেপাশেই তো একাধিক মসজিদ আছে। সেখানে যেতে কে মানে করেছে? মেট্রোস্টেশন ১০ মিনিটের বেশি স্টে করার জায়গা না। কেন ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করছেন?'

জে এ জয় লিখেছেন, 'ফজরের সালাত জামায়াতে আদায় করেছিলেন?' মাহমুদুল হাসান নওফেল লিখেছেন, 'আর কত শো-অফ করবেন?' গোলাম কিবরিয়া ফয়সাল ভূঁইয়া লিখেছেন, 'এগুলো হচ্ছে লাইক কমেন্টস পাওয়ার জন্য আবেগী পোস্ট।' অমি অনু লিখেছেন, 'সহমত ভাই। প্রত্যেকটা স্টেশনে ওয়াজ মাহফিলের ব্যবস্থা করা হবে না?'

মো. আশিক মাহমুদ লিখেছেন, 'প্রতিটি মেট্রো স্টেশনের পাশেই মসজিদ রয়েছে। নেমে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ!' আসাদুজ্জামান তাফিম লিখেছেন, 'মসজিদের শহরে যদি মসজিদ খুঁজে না পান তাহলে কিভাবে?'

খাদিজা আক্তার বৃষ্টি লিখেছেন, 'পাবলিক এই আবেগ এখন আর খায় না, ভণ্ডামি বাদ দিয়ে নামাজে মন দেন।' মাহমুদুল হাসান লিখেছেন, 'এসব কোথেকে আসে হুজুগে।' মহসিন আলম লিখেছেন, 'ওয়াজের জায়গাও তো দরকার। কি বলেন? দরকার না?'

মাহমুদুল হাসান অপু লিখেছেন, 'মসজিদ তৈরি করতে পারলে ভালো। ঢাকা শহর মসজিদের শহর, একটু খোঁজ নিলেই পেয়ে যাবেন আশেপাশে।' মো. আশরাফুল মিস্কাত লিখেছেন, 'ভাই মনে হয় ভুলে গেছেন এইটা মেট্রো স্টেশন। মেট্রোপলিটন এরিয়ার অন্তভুর্ক্ত। ঢাকা মেট্রোপলিটন এরিয়ায় স্টেশনের নিচে নামলেই শতশত মসজিদ পেয়ে যাবেন।'

মো. হাফিজ আহমেদ লিখেছেন, 'সর্বোচ্চ ৪০ মিনিটে যাত্রাপথে স্টেশনে মসজিদ কেন লাগবে? আমার জানামতে উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন ব্যতীত বাকি সকল স্টেশনের আশেপাশে মসজিদ রয়েছে। তাই আশা করি কোন মুসলমানের মেট্রোতে যাতায়াতের সময় নামাজের কোনো ব্যাঘাত হবে না ইনশাআল্লহ।'

খালিদ সাইফুল্লাহ ফকির লিখেছেন, 'মেট্রোরেলে নামাজ না পড়ে স্টেশনের পাশের কোনো মসজিদে পড়ে নিন। ঢাকা শহরে কোটি কোটি মসজিদ আছে।'

মোজাম্মেল হোসেন প্রতীক লিখেছেন, 'আমি মেট্রো স্টেশনে একটা প্লে স্টেশন খেলার ব্যবস্থা চাই। যেন ট্রেন আসার আগ পর্যন্ত একটা গেম খেলতে পারি।' মো. মজিদুল ইসলাম লিখেছেন, 'সব স্টেশনে স্টাফদের জন্য নামাজের জায়গা আছে।'

সৈয়দ মুনির হুসেন লিখেছেন, 'আজকে ফজরের নামাজ পড়ছেন? আপনি যে কত বড় নামাজি তা তো পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ওরে বাবা রে কী নামাজি লোকটা। মোনাফিকদের ব্যাপারে কোরানের পরিষ্কার বলা আছে। নামাজ আল্লাহকে খুশি করতে আল্লাহর আদেশ হিসেবে পড়তে বলছে। মানুষকে দেখানোর জন্য শো অফ করে না। পথে ঘাটে নামাজ পড়তে বলে নাই। ভণ্ডামি ছাড়েন।'

আকাশ দেবনাথ লিখেছেন, 'ভায়ের কি মেট্রোরেলের ভিতরেই দরকার? যেন চলতে চলতে নামাজ পড়তে পারেন?' পংকজ কুমার লিখেছেন, 'ওয়াজ করার জায়গাও কবে জানি চেয়ে বসেন।'

আরসি-০২