সালাম মুর্শেদী প্রতি সেকেন্ড অবৈধভাবে বাস করছেন: ব্যারিস্টার সুমন

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
০৩:৩৩ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
০৩:৩৩ অপরাহ্ন



সালাম মুর্শেদী প্রতি সেকেন্ড অবৈধভাবে বাস করছেন: ব্যারিস্টার সুমন


খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে রুল শুনানির জন্য আগামী রোববার (৩ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক এবং ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাজউকের পক্ষে অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন মাসুদ শুনানি করেন।

শুনানিতে ব্যারিস্টার অনীক আর হক এবং ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, রাজউক ও দুদকের হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে গুলশানে সালাম মুর্শেদী যে বাড়িতে বাস করছেন সেটা রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এ বাড়িতে তিনি এখন এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, মানুষ অপহরণের মতো সালাম মুর্শেদী গুলশানের বাড়িটি অপহরণ করে বাস করছেন। এ বাড়িতে তিনি প্রতি সেকেন্ড অবৈধভাবে বাস করছেন।

এসময় হাইকোর্ট রাজউকের আইনজীবীকে প্রশ্ন রেখে বলেন, সেটেলমেন্ট কোর্টের অর্ডার ছাড়া এ সম্পত্তি কীভাবে সালাম মুর্শেদীর কাছে হস্তান্তর করা হলো? পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দাখিল করা আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে জালিয়াতির ঘটনার প্রমাণ মিলেছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সালাম মুর্শেদী বাড়িকে কেন্দ্র করে জাল জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, এটা দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এই বাড়ি নিয়ে মামলা হয়েছে, তদন্তে জানা যাবে কার কতটুকু দায় আছে।

এর আগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও মামলার এফআইআর হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। তবে আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি চেয়েছেন। আদালত বলেছেন, এই বাড়ির চেইন অব টাইটেল আমাদের দেখাতে হবে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে দুদককে যাবতীয় নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে।

গত ১৭ জানুয়ারি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদককে অনুসন্ধান প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগে গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে ২ সদস্যের কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত মূল নথি ও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন এফিডেভিট করে এক সপ্তাহের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। তার দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দুদককে দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৩ নভেম্বর সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। সেদিন সালাম মুর্শেদীর পক্ষে কাগজপত্র দাখিল করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

গত বছরের ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র দশদিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।

তারও আগে সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে রিট করা হয়। গত বছরের ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।



এএফ/০৪