নৈরাজ্য তৈরীর চেষ্টাকারীদের কোনো প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: সিলেট বিএনপি

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ০৬, ২০২৪
০৮:২৩ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০৬, ২০২৪
১১:৩৩ অপরাহ্ন



নৈরাজ্য তৈরীর চেষ্টাকারীদের কোনো প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: সিলেট বিএনপি


সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের এই সময়ে যারা নৈরাজ্য তৈরীর চেষ্টা করছে তাদের স্থান আমাদের দলে তো নেই-ই, তাদের কোনো স্থান নেই। তাদের একটাই পরিচয় দুস্কৃতিকারী।’ তারা আরো বলেন, ‘দেশের অন্যতম বৃহৎ দল হিসেবে আমরা স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবং জান মালের নিরাপত্তায় সবার পাশে থাকব।’

আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বেলা ৪টায় নগরের কুমারপাড়ায় একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এসব কথা বলেন তারা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গবার (৬ আগস্ট) বিকালে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের কোনো নেতাকর্মী এসব অপকর্মে জড়িত নন বলে দাবি করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন- দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দেশের স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছিলো। আর দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্যদিয়ে এবার দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। দীর্ঘ এই সময়ে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ত্যাগ-সংগ্রাম এবং ছাত্রজনতার টানা ৩৬ দিনের রক্তদেওয়া আন্দোলনের পর সোমবার (৫ আগস্ট) এটি অর্জন করেছি আমরা। এই অকুতোভয় ছাত্রজনতাসহ ১৮ কোটি জনতার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

কাইয়ুম চৌধুরী আরও বলেন- স্বৈরাচার সরকারের রেখে যাওয়া কিছু দোসর জনতার বিজয় উৎসবে সুকৌশলে প্রবেশ করে সিলেট শহরে বিচ্ছিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তাদের সঙ্গে বিএনপি কিংবা ছাত্র-জনতার কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয়টি পরিলক্ষিত হওয়ার পরপরই দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী ও ড. এনামুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে শহরজুড়ে মাইকিং করে তাদের ঠেকানো এবং সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে সিলেট বিএনপি। কোথাও কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাদেরকে সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে বলছেন বিএনপি নেতারা। এছাড়া দুর্বৃত্তদের ঠেকাতে সিলেটবাসীকে প্রতিটি পাড়ায় প্রতিরোধ কমিটি গঠন করার জন্য আহবান জানাচ্ছে বিএনপি। এ বিষয়ে সিলেট বিএনপি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছে। 

জেলা বিএনপির সভাপতি সংবাদ সম্মেলনে বলেন- আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সিলেটের সাংবাদিক এটিএম তুরাবসহ দেশের শহিদ হওয়া সাংবাদিকদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে স্মরণ করছি পুলিশ-বিজির গুলিতে নিহত সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৬ জনসহ সারা দেশের শহিদদের। তাদের সকলের নাম ও এই আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলী, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনেদ আহমদ, আনসার আলীসহ যেসকল নেতাকর্মী গুম হয়েছেন তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। পাশাপাশি দীর্ঘ ১৫ বছরে দলের যেসব নেতাকর্মী ও ছাত্রজনতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অভিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদি, আরিফুলল হক চৌধুরী, ড. এনামুল হক চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামিম ও আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অধ্যাপক সামিয়া বেগম চৌধুরী, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দীকি, জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমদ চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল গফফার।



এএফ/১১