সিলেট মিরর ডেস্ক
                        আগস্ট ১৮, ২০২৪
                        
                        ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
                        	
                        আপডেট : আগস্ট ১৯, ২০২৪
                        
                        ০২:০৫ পূর্বাহ্ন
                             	
                        
            
    জীবন রক্ষার্থে সেনানিবাসের ভেতরে রাজনৈতিক, সরকারী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ৬২৬ জন দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়। এরই মধ্যে তাদের বড় অংশই স্ব উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেছেন।
সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণরক্ষার্থে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিবিধ নাগরিকদের আশ্রয় প্রদান এবং অভিযুক্তদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর প্রসঙ্গে তথ্য দিয়েছে আইএসপিআর।
আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এ সময় প্রাণনাশের আশঙ্কায় কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিবিধ নাগরিকগণ সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পরিপ্রেক্ষিতে বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ, জীবন রক্ষা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জীবন বিপন্ন ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ০৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ২৮ জন পুলিশ অফিসার, ৪৮৭ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার-পরিজন (স্ত্রী ও শিশু)'সহ সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়।
পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ৬১৫ জন স্ব-উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেন।
আশ্রয় প্রদানকৃত ব্যক্তিবর্গের মধ্য থেকে এ পর্যন্ত চারজনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয়প্রাপ্ত তিনজন তাদের পরিবারের চারজন সদস্যসহ মোট সাতজন সেনানিবাসে অবস্থান করছে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সব তথ্য প্রদান করা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ ও পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ক্ষেত্রে গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ধৈর্যশীল ও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শন করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। 
দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনসাধারণের পাশে আছে এবং থাকবে।
এএফ/০৫