সিলেট সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় বিচারপ‌তি শামসু‌দ্দিন মা‌নিক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কানাইঘাট প্রতিনিধি


আগস্ট ২৩, ২০২৪
০৩:৫৬ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০২৪
০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন



সিলেট সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় বিচারপ‌তি শামসু‌দ্দিন মা‌নিক আটক


আ‌লো‌চিত বিচারপ‌তি আবুল হোসেন মোহম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আটক করেছে বিজিবি।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দনা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেন। বর্তমানে ক্যাম্পে তাদের হেফাজতে রেখেছেন।

আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে দনা বিজিবি কর্তৃক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগীতায় তিনি সিলেটের কানাইঘাটে এসে পৌঁছান। সেখানে রাত ৯টা পর্যন্ত তিনি ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিজিবির কাছে খবর আসে চার/পাঁচজন লোক অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে। খবর পেয়ে বিজিবির সদস্যরা এগিয়ে গেলে বাকিরা মানিককে রেখে পালিয়ে যান।

এ সংক্রান্ত অন্য সংবাদ পড়ুন-

‘এ দেশে এত কষ্ট করে এসেছি বাংলাদেশ ফেরত যেতে’: সাবেক বিচারপতি মানিক

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দিনসহ এলাকার আরো অনেকে জানিয়েছেন, দনা পাতিছড়া গ্রামের রফিকুল হোসেনের ছেলে সাদ্দামের সহায়তায় অবৈধভাবে শুক্রবার বিকেলের দিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। পরে তাকে দনা বিজিবির সদস্যরা আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যান। সাদ্দাম হোসেনের বসতবাড়িটি বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তঘেঁষা।

সে ভারতে অবৈধভাবে বিভিন্ন সময়ে অনুপ্রবেশ করে থাকে বলে জানা গেছে।

এদিকে বিজিবির সদস্যদের হাতে আটকের পর বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে। ভিডিওতে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিককে বিষণ্ন অবস্থায় কলাপাতায় শুয়ে থাকা অবস্থায় কথা বলতে দেখা গেছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দনা বিজিবি ক্যাম্পের হেফাজতে থাকা দেশের সমালোচিত সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিককে দেখতে শত শত মানুষ ক্যাম্পের পাশে ভিড় করছেন।

এ সংক্রান্ত ভিডিও দেখুন-


আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অবসরে যান। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও টেলিভিশন টক শোতে কথা বলতেন তিনি।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আলোচনার একপর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে সঞ্চালকের ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পুরো অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকবার সঞ্চালকের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন এবং উচ্চবাচ্য করেন।

এখানেই শেষ নয়, অনুষ্ঠান শেষে স্টুডিও ছাড়ার আগে সঞ্চালককে প্রকাশ্যে অযোগ্য ভাষায় গালি দেন বিচারপতি মানিক। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে অবশ্য তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন এ বিষয়ে।

এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অবসরে যান। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও টেলিভিশন টক শোতে কথা বলতেন তিনি।

হাসিনা সরকার পতনের আগে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আলোচনার এক পর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে সঞ্চালকের উপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পুরো অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকবার সঞ্চালকের উপর ক্ষোভ ঝাড়েন এবং উচ্চবাচ্য করেন।

এখানেই শেষ নয়, অনুষ্ঠান শেষে স্টুডিও ছাড়ার আগে সঞ্চালককে প্রকাশ অযোগ্য ভাষায় গালি দেন বিচারপতি মানিক। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

পরে অবশ্য তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন এ বিষয়ে।


এএফ-০৭/আরসি-০২