২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪
০৪:০৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪
০৯:৩৮ অপরাহ্ন



২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা


সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ আরও ২৬ জনকে। আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় আলতাফ খান নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করে মামলাটি করেছেন।

মামলার বাদী আফিয়া ওভারসিজের মালিক আলতাফ খান অভিযোগ করেন, মন্ত্রী নিয়মের বাইরে গিয়ে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে চেয়েছিলেন। আমাদের জোরপূর্বক জিম্মি করে তারা টাকা নিয়েছেন। আমার ব্যক্তিগত ১২ কোটি টাকা জোর করে আদায় করেছেন মন্ত্রী। এই সিন্ডিকেটে তৎকালীন সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন তার ছেলেকে দিয়ে ব্যবসা করেছেন।

আলতাফ খান বলেন, এদের আমি একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র বলব। যিনি মন্ত্রী ছিলেন তিনি তো শপথ করেছিলেন রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করবেন না। মালয়েশিয়ায় ১৫টি দেশ থেকে কর্মী যায়। কিন্তু সেখানে মন্ত্রী ভিন্ন একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তিনি একটি হোটেলে বসে এই স্বাক্ষর করেন। তখন বলা হয়েছিল লোক নেওয়ার জন্য এজেন্সি পছন্দ করবে মালয়েশিয়ান সরকার। কিন্তু সেটি তো করবে কোম্পানি। মালয়েশিয়ান সরকার নয়। এখানে তিনি অনিয়ম করেছেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খালিদ হোসেন বলেন, সোমবার রাতে সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীসহ মোট ১০৩ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, এই মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ ছাড়াও সাবেক সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাবেক সংসদ সদস্য ও এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (অব.), আহমেদ ইন্টারন্যাশনাল প্রোপাইপার ও সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মো. রুহুল আমীনসহ (স্বপন) ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিদের অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইমরান আহমেদ সিলেট-৪ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর প্রথমে তাকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। পরে তাকে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে চলতি বছরের জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হলেও মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি।



এএফ/০৩