চোরাকারবারি, চাঁদাবাজি বন্ধে সুরমা নদীতে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং মহড়া

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ১১, ২০২৫
০৪:২৮ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ১১, ২০২৫
০৪:২৮ অপরাহ্ন



চোরাকারবারি, চাঁদাবাজি বন্ধে সুরমা নদীতে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং মহড়া


সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা ও নদীপথে  চোরাকারবারি,  ডাকাতি জোরপূর্বক চাঁদাবাজি বন্ধ করতে অভিযান ও ফায়ারিং মহড়া করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে জেলার দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার সুরমা নদীতে এই অভিযান ও ফায়ারিং মহড়া পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। 

সুনামগঞ্জ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেলার সীমান্ত এলাকা দোয়ারাবাজার ও শিল্প এলাকায় ছাতক থেকে নদীপথ দিয়ে  সারা দেশে মূল্যবান চুনাপাথর, বালু, সিমেন্টসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহণ  করা হয়।  প্রায় সময় দেখা যায় এসবে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি হয়,  সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান এবং ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নদীপথে ও সীমান্তে চাঁদাবাজি, ডাকাতি চোরাচালান শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতেই সেনাবাহিনীর এই মহড়া।

মহড়ায় দেখানো হয় সুরমা নদীতে পণ্য পরিবহণের একটি বাল্কহেডের পিছু নিয়েছে চাঁদাবাজচক্র।  ঘটনাস্থলের আশপাশেই নদীপথে টহল দিচ্ছিল সেনাবাহিনী ছাতক ক্যাম্পের সদস্যরা। হঠাৎ একটি বাল্কহেড জিম্মি করার খবর এলে ছুটে যান সেনা সদস্যরা। অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নৌকা, গ্রেপ্তার করা হয় চাঁদাবাজদের। 

সুরমা নদীর ছাতক ও দোয়ারাবাজারে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধে এভাবেই মহড়ার মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা ও কঠোর বার্তা দিয়েছে সেনাবাহিনী। চোরাচালান, চাঁদাবাজি, ডাকাতি রোধ এমন অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানায় সেনাবাহিনী।

মহড়ায় অংশ নেওয়া  মেজর জাবের বলেন,  কোম্পানিগঞ্জ, ছাতক, দোয়ারাবাজার নৌ রুট আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে চোরাচালান, চাঁদাবাজি,  অনেক সময় ডাকাতির তথ্য আসে। এগুলো নিরসনে আমাদের অভিযান চালু করেছি। চাঁদাবাজি অনেকটা কমে গেছে। এটাকে আমরা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চাই। আমাদের অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা আজকে একটি জিম্মি নৌকা উদ্ধার অভিযানের মহড়া করেছি। এখানে ফায়ারিং মহড়াও করা হয়েছে।


এনটিভিঅনলাইন/এএফ-০৬