নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ০৭, ২০২৫
০৭:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৭, ২০২৫
১০:২৩ অপরাহ্ন
ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান অভিযোগে সিলেটে বাটার চারটি শোরুমে হামলা ও ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে। এগুলো হলো আম্বারখানা, দরগা গেইট, জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজারে শোরুম। এর মধ্যে জিন্দাবাজারে বাটার পণ্য রাস্তায় এনে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন সময় এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরাইলের গণহত্যা ও অমানবিক হামলার প্রতিবাদে এবং হামলা বন্ধের দাবিতে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে সিলেট নগর। বেলা আড়াইটার দিকে নগরের দরগা গেইট এলাকায় বাটার শোরুমে হামলা চালায় একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা শোরুমের সামনের কাচের পার্টিশন ও দরজা ভাঙচুরের পর ভেতরে ব্যাপক ভাংচুর করে।
কাছাকাছি সময়ে নগরের আম্বরখানা, জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজারে বাটার শোরুম হামলার শিকার হয়। নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় বাটার শোরুমের মালামাল রাস্তায় জড়ো করে তাতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতার একাংশ।
তবে এ বিষয়ে বাটা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যাকারী ইসরায়েলি মালিকানাধীন কেএফসি, বাটা, নেসলে সহ ইসরায়েলি বিভিন্ন পণ্য ও শো-রুম কোনো প্রতিষ্ঠান সিলেটের মাটিতে থাকতে দেওয়া হবে না। আজ সন্ধ্যার মধ্যে সিলেটের সকল দোকান ও শো-রুম থেকে ইসরায়েলি পণ্য সরিয়ে না নিলে আরও কঠোর হবে সিলেটের তৌহিদি জনতা। এসময় তাঁরা সিলেটে সহ সারাদেশে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেন।
এর আগে সকাল থেকেই সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। জোহরের নামাজের পর থেকে নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সেখান থেকে তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিশাল একটি মিছিল জিন্দাবাজার হয়ে চৌহাট্টা পয়েন্ট ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেয় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক জানান, ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতম গণহত্যার প্রতিবাদে ডাকা বৈশ্বিক ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে সিলেটে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে।
কেএ-০১/ এএফ-০৩