সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ২৭, ২০২৫
০২:৪৭ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২৫
০২:৫৩ অপরাহ্ন
বিদ্যুত ব্ল্যাকআউট, মেট্রোরেল চলাচল বিঘ্নিতের খবর উপদেষ্টাকে জানাননি সচিবরা
বিদ্যুত ব্ল্যাকআউটের কারণে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও এ বিষয়ে উপদেষ্টাকে কোনো তথ্য দেননি সংশ্লিষ্ট সচিবেরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিষয়টি জানতে হয় বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেলপথ–বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোকে দাপ্তরিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন।
আজ রবিবার এ–সংক্রান্ত দাপ্তরিক নির্দেশনায় বলা হয়, গতকাল শনিবার মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয় এবং খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুতের ব্ল্যাকআউট ঘটে। তবে দুটি ঘটনাতেই সচিবেরা বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানেরা উপদেষ্টাকে কিছু জানাননি।
নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে যেকোনো গ্রাহক ও যাত্রীসেবা বিঘ্নের ঘটনা টেলিভিশনের স্ক্রলের মাধ্যমে অনতিবিলম্বে জানাতে হবে। পরিষেবা আবার চালু হলে সেটিও জানিয়ে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘মনে রাখতে হবে, গ্রাহক ও যাত্রীসেবা আমাদের দয়া নয়, বরং দায়।’
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেল চলাচল বিঘ্ন ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তৎপরতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি জানতে চেয়েছেন, কেন বিষয়টি যাত্রী ও গ্রাহকদের জানানো হয়নি এবং দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়া সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে এ বিষয়ে কৈফিয়তও চাওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেলে উপদেষ্টা বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। বিদ্যুৎ বিভাগ তখন জানায়, এটি মেট্রোরেলের কারিগরি ত্রুটি, বিদ্যুতের কোনো সমস্যা নেই। যদিও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ শুরুতেই উপদেষ্টাকে কিছু জানায়নি। একইভাবে খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়েও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তথ্য গোপনের চেষ্টা করেন।
জিসি / ০৩