উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ড. ইউনূসের পদত্যাগের আলোচনা

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ২৩, ২০২৫
০১:৪৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২৩, ২০২৫
০১:৪৬ পূর্বাহ্ন



উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ড. ইউনূসের পদত্যাগের আলোচনা


অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের নির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে তার পদত্যাগের প্রসঙ্গ উঠে আসে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত তিনজন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার দুই কর্মকর্তা এবং ছাত্রনেতারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে এক ঘণ্টা নিয়মিত সভা হয়। এরপর সচিবরা বেরিয়ে যান। উপদেষ্টাদের নিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা অনির্ধারিত বৈঠক করেন ড. ইউনূস।

দুজন উপদেষ্টা জানান, প্রধান উপদেষ্টা শুরুতে বলেন, রাজনৈতিক দলসহ কেউ সরকারকে প্রতিশ্রুত সহযোগিতা করছে না।

এভাবে দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচন নিয়ে চাপ তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হবে।

এর দায় নিতে রাজি নন তিনি।

পরে বিকেল থেকে এই আলোচনা ‘প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন’ হিসেবে ডালপালা মেলে। বিকেল ৪টায় বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের পথনকশার দাবি জানায়, অন্যথায় সরকারকে সহযোগিতা করা কঠিন হবে বলে মত দেয়। বিকেল ৫টার দিকে জামায়াতে ইসলামী দলের নির্বাহী কমিটির সভা করে এবং সর্বদলীয় সভা ডাকার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানায়।

পরে সরকারপ্রধানের পদত্যাগের ভাবনার কথা রাজনৈতিক অঙ্গনে ছড়ালে সন্ধ্যায় যমুনায় যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এক ঘণ্টা পর বেরিয়ে আসেন তারা।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানা গেছে। তবে তারা ছাত্রনেতাদের সঙ্গে একই সময়ে গিয়েছেন, নাকি আলাদা গিয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উপদেষ্টাদের বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে অবিশ্বাস করায় ড. ইউনূস হতাশা প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে। নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, এমন বিষয়কেও নির্বাচনী ইস্যু করে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে– এটা তিনি বারবার বলছেন। জুনের পর এক দিনও থাকবেন না। কিন্তু কোথাও যেন অবিশ্বাস রয়ে গেছে।

বৈঠকে বলা হয়, নির্বাচন বিতর্কিত হলে নোবেলজয়ী হিসেবে ড. ইউনূসের সারাজীবনের অর্জিত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে।

ড. ইউনূস বলেন, এই দায় তিনি নিতে চান না। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দলের অনুরোধে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। দলগুলো সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কথা দিয়েছিল– আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। কিন্তু এখন অস্থিরতা তৈরি করেছে। মানুষের আশা পূরণ করতে দিচ্ছে না। জনদুর্ভোগ তৈরি করছে। যে কোনো ইস্যুতেই রাস্তা অবরোধ করছে।


এএফ/০১