সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫
০২:৪১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫
১১:২৫ পূর্বাহ্ন
মহালয়া উদযাপন পরিষদ শ্রীহট্টের-এর ১৪৩২ বঙ্গাব্দের চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সিলেটের মীরাবাজারস্থ শ্রী শ্রী ঁবলরাম জিউর আখড়ায় শুরু হয়েছে।
গতকাল সকাল সোয়া আটটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মহালয়া পতাকা ও সমিতির পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মহালয়া উৎসবের উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধন করেন সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের সম্পাদক স্বামী চন্দ্রনাথানন্দ মহারাজ। মহালয়া উদযাপন পরিষদ শ্রীহট্টের-এর ১৪৩২ বঙ্গাব্দের সভাপতি এ্যাপেক্সিয়ান জি.ডি রুমুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যাংকার দীপক কুমার দাশের সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিষদের উপদেষ্টা সমাজসেবী জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদার চন্দন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, উত্তরা ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত জিএম নীরেশ চন্দ্র দাশ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট সিলেটের ট্রাস্ট্রী সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন দেব, পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক স্বপন চক্রবর্তী, যুগ্ম সমন্বয়কারী উপাধ্যক্ষ কৃষ্ণপদ সূত্রধর, প্রাক্তন সভাপতি এ্যাপেক্সিয়ান চন্দন দাশ, প্রাক্তন সভাপতি বিনয় ভূষণ তালুকদার, ইমিগ্রেশন এডভাইজার নিরঞ্জন চন্দ্র চন্দ, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জ্যোতি মোহন বিশ্বাস প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মহালয়া বাঙালির চিরচেনা আবেগের দিন, দেবীপক্ষের সূচনা ঘোষণার ক্ষণ।
এই দিনে পিতৃপক্ষের তর্পণের দিন। তাই পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে নিবেদিত হয় শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা।
একই সঙ্গে অতীত ও বর্তমানকে সংযোগ করে মহালয়া, পবিত্রতার আলোয় উদ্ভাসিত করে মানব হৃদয়। এদিন থেকেই বাঙালির ঘরে ঘরে শুরু হয় দুর্গোৎসবের আগমনী আনন্দ। দেবী দুর্গার আবির্ভাব কাহিনি স্মরণ করিয়ে দেয় শুভ শক্তির জাগরণ। অসুর শক্তির বিনাশ ও ন্যায়-অন্যায়ের চিরন্তন লড়াই নতুন করে ধ্বনিত হয়। মহালয়া তাই শুধু উৎসবের সূচনা নয়, আত্মিক জাগরণেরও বার্তা বহন করে।
এদিকে প্রথম দিনের অনুষ্ঠানসূচিতে বিকেল চারটায় ছিল চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। সাড়ে পাঁচটায় ধর্মীয় কুইজ প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যে সাতটায় অনুষ্ঠিত হয় গল্পবলা প্রতিযোগিতা।
এএফ/০২