গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি

এপ্রিল ০২, ২০২০
১১:৩৯ অপরাহ্ন

আপডেট : এপ্রিল ০২, ২০২০
১১:৩৯ অপরাহ্ন

দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলাবাসীকে নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী।

গতকাল বুধবার রাতে (১ এপ্রিল) এক খোলা চিঠিতে তিনি এ আহ্বান জানান। তাঁর ওই খোলা চিঠি নিচে তুলে ধরা হলো :

প্রিয় গোলাপগঞ্জবাসী, আমার সালাম/আদাব গ্রহণ করবেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সমগ্র বিশ্বে এক ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। সমগ্র বিশ্বে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে এবং এই ভাইরাসের সংক্রমণে অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। যেহেতু এই সংক্রামক ব্যাধির  কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি, তাই আমাদের দেশে এই রোগের বিস্তার রোধে বিশেষজ্ঞগণ এবং সরকারের পক্ষ থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে তা গুরুত্ব সহকারে আমাদের প্রত্যেকেরই মেনে চলা উচিত। 

প্রিয় গোলাপগঞ্জবাসী, এই মুহূর্তে আমাদের উচিত নিজ গৃহে অবস্থান করা, লোকসমাগম এড়িয়ে চলা। যারা প্রবাস থেকে এসেছেন, তাদেরকে অনুরোধ করব আপনার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন তথা এই সমাজের স্বার্থে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চলুন। পাশাপাশি সকলকে অনুরোধ করব বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। ঘর থেকে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। বার বার সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধৌত করুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজে ভালো থাকুন, আপনার পরিবার ও সমাজকে ভালো রাখুন। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সমগ্র দেশের ন্যায় আমাদের গোলাপগঞ্জে কিছু বিধি নিষেধ বলবৎ আছে। যার ফলে অনেক দরিদ্র মানুষ আর্থিক দৈন্যতার মধ্যে পড়েছেন। তাদের সহায়তায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সরকারিভাবে হতদরিদ্র মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সংকট মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সহযোগিতায় ইতোমধ্যে পাঁচ শতাধিক পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। পাশাপাশি আমার সহোদর আওয়ামী লীগ নেতা সমাজসেবক মনজুর সাফি চৌধুরী এলিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সিলেট জেলা প্রশাসনের কাছে ২০০ পিপিই এবং গোলাপগঞ্জের ডাক্তারদের সুরক্ষায় ৫০টি পিপিই প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া আমাদের দলের আরও অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করছেন এবং অনেকে করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। তাদের সকলকেই ধন্যবাদ জানাই। আমি সকল বিত্তবানদের দরিদ্র মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।

পরিশেষে বলব, করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা যদি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই নিরাপদ থাকব। আমরা ঘরে থাকব, নিজেকে নিরাপদ রাখব। আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় আছেন।