বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের অর্থ না পেয়ে বুরুন্ডির হুমকি

খেলা ডেস্ক


এপ্রিল ০৯, ২০২০
০২:৫৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৯, ২০২০
০২:৫৪ পূর্বাহ্ন



বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের অর্থ না পেয়ে বুরুন্ডির হুমকি

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সবশেষ আসরের পর্দা নেমেছে প্রায় তিন মাস হতে চলল। কিন্তু ওই প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হওয়া বুরুন্ডিকে এখনও পুরস্কারের অর্থ বুঝিয়ে দেয়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এ কারণে আফ্রিকার দলটির ম্যানেজার কন্সটানটিন মুটিমা যারপরনাই ক্ষুব্ধ। হুমকি দিয়ে বলেছেন, ফুটবলের বিশ্ব সংস্থা ফিফার কাছে বাফুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন তারা।

গেল ২৫ জানুয়ারি গোল্ডকাপের ফাইনালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্যালেস্টাইনের কাছে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছিল বুরুন্ডি। আসরের রানার্সআপ হিসেবে তারা পাবে ২০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ লাখ টাকা)। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্যালেস্টাইনের পাওয়ার কথা ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। কিন্তু তারা কেউই পায়নি পুরস্কারের অর্থ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ শেষে কেবল প্রতীকী চেক তুলে দেওয়া হয়েছিল দুদলের হাতে।

লম্বা সময় অপেক্ষার পরও বাফুফের কাছ থেকে কোনো বার্তা না পেয়ে গেল সোমবার বুরুন্ডি ম্যানেজার যোগাযোগ করেন বাংলাদেশের এক সাংবাদিকের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করেন, পুরস্কারের অর্থের বিষয়ে তাদেরকে অন্ধকারে রেখেছে বাফুফে। বুরুন্ডির পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাতে সাড়া দিচ্ছেন না তারা। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ করার হুশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

‘আমরা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে খেলতে এসেছিলাম এবং আমরা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছি। আমাদের ২০ হাজার মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা ছিল। ফাইনালের পর তিন মাস হতে চলল। আমরা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে বার্তা দিয়েছি। বার্তা পড়া হয়েছে কিন্তু কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি। এখন তারা যদি এই মাসের শেষ নাগাদ অর্থ না দেয়, তাহলে আমরা বিষয়টি নিয়ে যাব ফিফা এবং (বাংলাদেশের) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, কারণ তিনি ট্রফি ও পুরষ্কার বিতরণ করেছিলেন।’

পুরস্কারের অর্থ দিতে গড়িমসি করার নজির বাফুফের এটাই প্রথম নয়। এর আগে গোল্ডকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন নেপালকে প্রায় দুই বছর ধরে অপেক্ষায় রেখেছিল তারা। তাদের পাওনা ছিল ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। পরবর্তীতে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে বিষয়টি উঠে এলে অর্থ পরিশোধ করতে একরকম বাধ্য হয়েছিল বাফুফে।

তবে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছেন, বড় অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাঠাতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন হয় এবং বিষয়টি এখন সেখানে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে।

‘আমাদের মার্চ মাসের মধ্যে তাদের পুরস্কারের অর্থ পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। তবে করোনভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আমরা এই ইস্যুটিতে নজর না দেওয়ায় আমরা তা পাঠাতে পারিনি। আশা করছি, চলমান অচলাবস্থা (শাটডাউন) শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পুরস্কারের অর্থ প্রদান করব।’

‘বিদেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে সব রকমের সরকারি পদ্ধতি অনুসরণ করার নির্দেশনা রয়েছে। অর্থ কোনো সমস্যা নয়; আমরা অনুমতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দেব। আমরা ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়েছি। আর অর্থ প্রেরণ সম্পর্কিত ফাইলটি বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে রয়েছে।’

এআরআর-১৩/বিএ-২৬