করোনা আক্রান্তদের সাহায্যে পাক-ভারত সিরিজের প্রস্তাব

খেলা ডেস্ক


এপ্রিল ১১, ২০২০
০৮:৫১ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১১, ২০২০
০৮:৫১ অপরাহ্ন



করোনা আক্রান্তদের সাহায্যে পাক-ভারত সিরিজের প্রস্তাব

করোনার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে পৃথিবীজোড়া ক্রীড়াবিদরা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পালটা যুদ্ধে নেমেছেন। কেউ অর্থদান করছেন দেশের ত্রাণ তহবিলে। কেউ আবার নিজেদের খেলাধুলোর স্মারক নিলামে তুলে তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দান করছেন করোনা মোকাবিলায়। প্রাক্তন পাকিস্তান ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার বুধবার অভিনব এক উপায় বাতলে দিলেন করোনা মোকাবিলায়।

ভারত বনাম পাকিস্তান তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ করো! করো শুধুমাত্র টিভি দর্শকদের জন্য। এবং সেটা থেকে যে অর্থ আসবে, তা ভারত এবং পাকিস্তান দু’দেশেরই করোনার মোকাবিলায় ব্যবহার করো!

ভারত-পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে শেষ পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছিল আজ থেকে তেরো বছর আগে। ২০০৭ সালে। বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়া কাপের মতো বহুদেশীয় টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হলেও পূর্ণাঙ্গ সিরিজ নিজেদের মধ্যে আর খেলে না দুই দেশ। শোয়েবের মনে হচ্ছে, বর্তমানে করোনা কবলিত উপহামদেশে সেই সিরিজ ফিরিয়ে আনা উচিত। দু’দেশেরই এখন অর্থের প্রয়োজন করোনা মোকাবিলায়।

“সবচেয়ে ভাল কী হবে জানেন? মাঠে যে টিমই হারুক না কেন, তার সমর্থকরা হতাশায় ভেঙে পড়বে না। বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করলে আমরা খুশি হব। বাবর আজম সেঞ্চুরি করলে ভারতীয়রা খুশি হবেন। মাঠে যা-ই হোক না কেন, জিতবে দু’টো টিমই, ‘বুধবার বলে দিয়েছেন শোয়েব। সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের সংযোজন, তবে ম্যাচটা শুধুমাত্র হোক টিভিতে দেখার জন্য। মাঠে গিয়ে নয়। ভাবতে পারেন, দু’দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা যদি টিভিতে বসে ম্যাচটা দেখে, ভিউয়ারশিপের কী অবস্থা দাঁড়াবে! কারণ এই প্রথম দু’টো দেশ লড়বে একে অন্যের জন্য। যে অর্থ উঠবে তা দিয়ে ভারত এবং পাকিস্তান দু’টো দেশই লড়তে পারবে করোনার বিরুদ্ধে।’

তবে এখনই নয়। শোয়েবের মতে, দু’টো দেশের পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলে ম্যাচটা করা যেতেই পারে। ‘কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে না এখন। সবাই গৃহবন্দি। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সিরিজটা দুবাইয়ে করা যেতে পারে। চার্টার্ড ফ্লাইটের বন্দোবস্ত করে দু’টো টিমকে সেখানে নিয়ে যাওয়া যেতেই পারে,’ বলে দিয়েছেন অতীতের ভয়ঙ্কর ফাস্ট বোলার। ‘আর এই সিরিজটা করা গেলে ভারত-পাকিস্তান দু’টো দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কের সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও ভাল হবে। গোটা বিশ্ব দেখবে ম্যাচটা। একটা কথা জানবেন, কঠিন সময়েই কিন্তু একটা দেশের আসল চরিত্র বোঝা যায়।’

শোয়েবের মনে হচ্ছে, এই দুঃসময়ে ভারত-পাকিস্তান দু’টো দেশেরই উচিত একে অন্যের পাশে থাকা। ‘ভারত যদি আমাদের দশ হাজার ভেন্টিলেটর দেয়, আমরা পাকিস্তানিরা চিরকৃতজ্ঞ থাকব। তবে আমরা ম্যাচ খেলার কথাটাই বলতে পারি। বাকিটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে,’ বলে দিয়েছেন শোয়েব। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, হরভজন সিং এবং যুবরাজ সিংয়ের সাম্প্রতিকে সোশ্যাল মিডিয়ার রোষের মুখে পড়া নিয়ে। যুবরাজ-হরভজন নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারদের বলেছিলেন পাকিস্তানে শাহিদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশনে সামর্থ অনুযায়ী দান করতে। যার পর যুবরাজদের রোষের মুখে পড়তে হয়। শোয়েব যা মেনে নিতে পারছেন না। ‘যুবরাজদের এ রকম সমালোচনা করাটা অন্যায়। এখন দেশ, ধর্ম নিয়ে ভাবার সময় নয়। এখন সময় মানবিকতা দেখানোর।’

এআরআর-০১/বিএ-০২