লকডাউনে বাতিলের পথে আইপিএল

খেলা ডেস্ক


এপ্রিল ১৩, ২০২০
০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০২০
০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন



লকডাউনে বাতিলের পথে আইপিএল

আইপিএল শুরুর কথা ছিল ২৯ মার্চ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই টুর্নামেন্ট ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে এই টুর্নামেন্ট শুরুর নতুন তারিখ স্থির করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক বোর্ড (বিসিসিআই)। ভারত সরকার এখন করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য দেশটিতে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে। সেই সূত্রেই এটা পরিষ্কার যে চলতি মাসের মধ্যে আইপিএল শুরুর নতুন কোনো সময়সীমা ঘোষণার সুযোগ আর নেই। এই অবস্থায় এবারের আইপিএল বাতিলের চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়াটা এখন নেহাৎই সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বিসিসিআই এর এক সিনিয়র কর্মকর্তার কথাতেই আইপিএল বাতিলের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। তিনি বলছিলেন-‘পুরো দেশের পরিস্থিতি এখন অন্যরকম। আমাদের সামনে অগ্রাধিকার হলো এখন করোনাভাইরাস থেকে সবাইকে রক্ষা করা।’ তবে এই বছরের আইপিএলের আশা বিসিসিআই ছেড়ে দিচ্ছে তাও কিন্তু নয়। অপেক্ষায় আছে যদি কোনো খালি স্লট মিলে। অস্ট্রেলিয়ায় সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের পূর্ব সূচি আছে। যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর তারিখে কোনো বদল আসে তাহলে সেই সময়টা আইপিএল শুরু করা যায় কিনা- সেই খোঁজেও থাকছে ভারত!

আরেকটি বিকল্প পরিকল্পনার কথাও ভেসে বেড়াচ্ছে আইপিএলের বাতাসে। বলাবলি হচ্ছে সামনের জুলাইয়ে দর্শক শূন্য মাঠে আইপিএলের আয়োজন করা যায় কিনা? তবে দর্শক শূন্য গ্যালারিতে আইপিএল শুরুর সেই পরিকল্পনা তেমন হালে পানি পাচ্ছে না। আইপিএল থেকে বিসিসিআই প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে। এক হিসেবে জানা গেছে এই বছর আইপিএল না হলে বিসিসিআই এর ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২ হাজার কোটি রুপি। আর আইপিএল সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা স্টার ইন্ডিয়ার ক্ষতির পরিমাণ আরো বিপুল হতে পারে। সেই ক্ষতির পরিমাণ ৩২৬৯.৫০ কোটি রূপি!

২০১৮ সালে স্টার ইন্ডিয়া পাঁচ বছরের জন্য আইপিএল সম্প্রচার স্বত্ব কিনে নেয় ১৬,৩৪৭ কোটি রূপির বিনিময়ে। এই বছর আইপিএল না হলে টাইটেল স্পন্সর ভিভোর কাছ থেকেও ৪০০ কোটি রূপির রাজস্বও হারাবে স্টার ইন্ডিয়া! বিপুল এই আর্থিক ক্ষতি যাতে না হয় সেজন্য আইপিএল আয়োজনের জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালাবে বিসিসিআই। 

 

এআরআর-০৭/আরসি-০৪